সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তে চার সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলা তদন্তে উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে বিভিন্ন সংস্থার অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে চার সদস্যের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক করা হয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধানকে। অন্য সদস্যরা হলেন-পুলিশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি (অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদমর্যাদার নিচে নয়), অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রতিনিধি (অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদমর্যাদার নিচে নয়) ও র‌্যাবের প্রতিনিধি (সহকারী পরিচালক পদমর্যাদার নিচে নয়)।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ রাজনৈতিক শাখা-২ এর সিনিয়র সহকারী সচিব মো. জহিরুল হকের সই করা এক পরিপত্রে এমন তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, যথাযথ আইন ও বিধি অনুসরণ করে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে ছয় মাসের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে টাস্কফোর্স।

টাস্কফোর্স গঠনের বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির বলেন, সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তে চার সদস্যবিশিষ্ট টাস্কফোর্স গঠিত হলো। আশাকরি এবার আলোর মুখ দেখবে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশের একজন কর্মকর্তা। একই বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তভার পড়ে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মহানগর উত্তরের পরিদর্শক রবিউল আলমের ওপর।

দুই মাস পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় র‌্যাবকে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সংস্থাটি। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কার্যক্রম থেকে র‌্যাবকে সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে উচ্চপর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন...