জাতীয় যুব দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে রাজধানীর রামপুরা খাল পরিষ্কার অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন৷
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে রামপুরা খালে পরিষ্কার অভিযান পরিদর্শনকালে খালে ময়লা না ফেলার আহ্বান জানিয়েছেন ডিএনসিসি প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান।
উল্লেখ্য, জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষ্যে সারা বাংলাদেশে খাল পরিষ্কার কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ০১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।
শুক্রবার সকালে রামপুরা খাল পরিষ্কার কার্যক্রমে ডিএনসিসি’র ২৫০ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী অংশ নেয়। একটি অত্যাধুনিক ফ্লোটিং এস্কেভেটর ব্যবহার করে খালের তলদেশ থেকে ময়লা পরিষ্কার করা হয়।
ডিএনসিসি’র প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম পরিষ্কার কার্যক্রম সরেজমিনে তদারকি করেন। এসময় তারা ফ্লোটিং এস্কেভেটরে চড়ে এর কার্যক্রম দেখেন।
পরিদর্শন শেষে ডিএনসিসির প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান এলাকাবাসী ও পরিছন্ন কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। প্রশাসক বলেন, ‘বর্জ্য পরিষ্কার ডিএনসিসি’র একটি নিয়মিত কাজের অংশ। প্রতিদিন আমাদের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা রাস্তা, ফুটপাত ও গৃহস্থালির বর্জ্য এবং খালের বর্জ্য অপসারণ করে। জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষ্যে সারা দেশে জাতীয়ভাবে ১৫ দিন ব্যাপী খাল পরিষ্কার কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে আমারও ডিএনসিসি থেকে এই বিশেষ কর্মসূচি শুরু করেছি৷ রামপুরা খালে পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু হল এবং পর্যায়ক্রমে ডিএনসিসি’র অন্যান্য খালেও এই কার্যক্রম চলবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য ও নিরাপদ শহরে পরিণত করতে নানা ধরনের বর্জ্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় আনতে হবে। প্লাস্টিকের, পিলিথিনের ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে বিভিন্ন ধরণের মাইক্রো প্লাস্টিক খাদ্যদ্রব্যের মাধ্যমে আমাদের দেহে প্রবেশ করে জটিল রোগের সৃষ্টি করছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হবে। তাই আমাদের সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। যত্রতত্র ময়লা ফেলা বন্ধ করতে হবে। খালে পয়োবর্জ্যের সংযোগ দেয়া যাবে না, ময়লা ফেলা যাবে না।’
এসময় তিনি খালের জমি কেউ যেন অবৈধভাবে দখল করতে না পারে এ ব্যাপারে সোসাইটির নেতৃবৃন্দকে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং আফতাবনগর হাউজিং সোসাইটির নেতৃবৃন্দ।