প্লাবন শুভ,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভার উদ্যোগে পরিচালনা করা হচ্ছে মশা নিধন কার্যক্রম। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি প্রকাশ করছেন মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ পৌরবাসী।
পৌর মেয়র অপসারণের পর পৌর প্রশাসক দায়িত্ব গ্রহণ থেকে নিয়মিত মশা নিধন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ নানা কার্যক্রম জোরেশোরে চলছে বলে দাবি করেছেন সচেতন নাগরিক।
সরেজমিনে বুধবার উপজেলা পরিষদ রোডে দেখা যায়, ফগার মেশিন দিয়ে মশা নিধনে ড্রেন, ঝোপঝাড়, পরিত্যক্ত স্থাপনাসহ জলাশয়ে মশা নিধনে স্প্রে করছেন পৌরসভার কয়েকজন কর্মচারী। ভারী সেই মেশিনটি নিয়েই তিনজন কর্মচারীকে পর্যায়ক্রমে কাজ করতে দেখা যায়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ফুলবাড়ী শহরসহ প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডে পর্যায়ক্রমে কীটনাশক স্প্রে করা হবে এবং পৌরসভার কঞ্জারভেন্সি টিম দ্বারা প্রতিদিন ভোর থেকে পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজ চলছে। পৌর কশিশনার নিজেই বিষয়গুলো তদারকি করছেন বলে জানা যায়।
পৌরসভার বাসিন্দারা বলেন, ফুলবাড়ীতে দিনরাত মশার উৎপাত। বিকেল ৩টা থেকেই ঘরে বাড়িতে কয়েল ছাড়া থাকা যায়না। ফুলবাড়ী পৌরসভার নিয়মিত মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করলে এ দুর্ভোগ থেকে রেহাই মিলতো। তবে পৌরসভায় প্রশাসক সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাফর আরিফ চৌধুরী দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ মশা নিধন কার্যক্রম চোখে পড়ছে।
পৌর বাসিন্দা উষা রানী বলেন, আমাদের বাড়ীর আশাপাশে অনেক ঝোপঝাড় ফলে মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল জীবনযাপন। পৌরসভা থেকে মশার নিধনে কাজ করছিল কর্মচারীরা। তাদেরকে অনুরোধ জানিয়ে বাড়ির আশপাশে স্প্রে করিয়েছি। বর্তমানে কিছুটা হলেও মশার অত্যাচার কমেছে।
পৌরএলাকার সুজাপুর গ্রামের মশিউর রহমান বলেন, পৌরসভার থেকে মশা নিধন কার্যক্রম দেখা যায়না। আর কখনো হলেও শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও প্রতিষ্ঠানের আশাপাশে করা হয়। কিন্তু পৌরএলাকার অলিগলিতে খুব কমই দেখা যায় এই কার্যক্রম। সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ কর্মীদেরকে নির্দেশ দেয়া, যাতে তারা প্রতিটি অলিগলিতে এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
পৌর প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ্ তমাল বলেন, পৌর সভার প্রশাসক সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাফর আরিফ চৌধুরী প্রশিক্ষণে থাকায় পৌরসভার দায়িত্বও আমি পালন করছি। বর্তমানে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে পুরো পৌরশহরে এ কার্যক্রম চলবে।