ঢাকার দোহার এলাকায় চাঞ্চল্যকর নাজমুল হত্যাকাণ্ডে মূল পরিকল্পনাকারী রনি মিয়া ওরফে ডাকাত রনি ও তার ছেলে নাজমুল’কে ফরিদপুর জেলার মধুখালী এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।
ঢাকা জেলার দোহার থানাধীন বড় ইকরাশি পশ্চিমপাড়া এলাকায় বসবাসকারী মো: নাজমুল এর সাথে একই থানাধীন রনি মিয়া ওরফে ডাকাত রনি (৩৫) এর সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
গত ১৮ অক্টোবর সকাল আনুমানিক ০৮:৩০ ঘটিকায় আসামী রনিসহ অন্যান্য আসামীরা কৌশলে ভিকটিম নাজমুলকে দোহার থানাধীন রায়পাড়া এলাকায় একটি চায়ের দোকানে ডেকে নিয়ে যায়। একই তারিখ অনুমানিক ০৯:৩০ ঘটিকায় আসামী রনি মিয়া ওরফে ডাকাত রনি এবং তার ছেলে মোঃ নাজমুলসহ অপরাপর আসামীরা পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক মোটরসাইকেলযোগে উক্ত স্থানে আসে।
অতঃপর রনিসহ অন্যান্য আসামীরা ভিকটিম নাজমুলের উপর অতর্কিত আক্রমন করে রাম দা দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে কোপিয়ে ভিকটিম নাজমুলের নাক দ্বিখন্ডিত করে ফেলে এছাড়াও নাজমুলের গলা ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে। মারাধরের একপর্যায়ে ভিকটিম নাজমুলের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামী রনি ডাকাত ও তার ছেলে নাজমুলসহ অন্যান্য আসামীরা দ্রুত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ভিকটিম নাজমুল’কে গুরুত্বর আহত অবস্থায় দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্ত্যবরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উক্ত ঘটনার পর মৃত নাজমুলের মা মোসাঃ নাছিমা বেগম (৫৫) বাদী হয়ে নাজমুল হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামী রনি মিয়া ওরফে ডাকাত রনি ও তার ছেলে নাজমুলসহ ০৫ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। যার মামলা নম্বর-০৮/১৬৩, তারিখ-১৮/১০/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।
র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল উক্ত চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে।
গতকাল সোমবার (১১ নভেম্বর) আনুমানিক ১৫:৩০ ঘটিকায় র্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ফরিদপুর জেলার মধুখালী এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে ঢাকা জেলার দোহার থানাধীন রায়পাড়া এলাকায় চাঞ্চল্যকর নাজমুল হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যতম প্রধান আসামী রনি মিয়া ওরফে ডাকাত রনি (৩৫), এবং তার ছেলে মোঃ নাজমুল (২০)‘কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা উক্ত হত্যাকাণ্ডে তাদের সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।