পঞ্চগড়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

পিবিএ,পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে জেলা পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামুলক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আয়োজনে কর্মসভা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবু সাঈদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের পরিচালক (যুগ্মসচিব) দিদারুল ইসলাম।

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা জয় চন্দ্র রায়, অন্যান্যদের মধ্যে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) কনক কুমার দাস, এডিসি (শিক্ষা)এস এম জুলকার নাইন,জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল মতিন, জেলা মৎস কর্মকর্তা একেএম আব্দুল হালিম, জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ সাদী প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের সিনিয়র কনসালটেন্ট আইয়ূব হোসেন।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকতা, জেলার বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, হোটেল, বেকারী ও কনফেকশনারি মালিক সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় নিরাপদ খাদ্যের উপর জোর দিয়ে বক্তারা বলেন, খাদ্য উৎপাদনে কৃষকদের বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন উদ্যোগী হতে হবে। ফলমূলসহ বিভিন্ন খাদ্য গ্রহণে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে। কেননা নিরাপদ খাদ্যের অভাবে প্রতিবছরই হাজারো মানুষ ক্যান্সার, হৃদরোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত হন।শুধু মাত্র নিরাপদ খাদ্য গ্রহন না করার ফলে প্রতিদিন অনেকেই মরণব্যাধী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে অর্থনৈতিকভাবে পরিবারকে পঙ্গু করে ফেলছে।

এডিসি (শিক্ষা) এস এম জুলকার নাইন বক্তব্যে ব্যাবসায়ীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, চারিদিকে শুধু চাই আর চাই যেন চাওয়ার শেষ নেই। আপনাদের কি মৃত্যুর ভয় নেই, একবার ভাবুন তো সবকিছু ফেলে যখন তাই ঠিকানা (মৃত্যু) একমাত্র আসল ঠিকানা তাহলে আমরা খাদ্য কেন ভেজাল মেশাবো। আমি বিভিন্ন রেস্তোরায় দেখেছি যিনারা খাবার পরিবেশন করেন কয়জন হাতে গ্লোবস ব্যবহার করে। এজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। একটু ভুল সারাজীবনের কান্না। আগে জানতাম ৪০ বছর পেরোলেই হার্ট অ্যাটাকে মানুষ মারা যেত। এখন নিরাপদ খাদ্যভ্যাস না করার ফলে ২২ বছরের যুবকও হার্ট অ্যাটাকে মারা যাচ্ছে। এজন্য প্রচুর জনসচেতনতা তৈরি করার কোনো বিকল্প নেই।

এসময় আলোচনা সভাটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়, প্রভাষক আব্দুর রহিম, মকগুলার রহমান সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, বেকারি মালিক রিলু, হোটেল ব্যবসায়ি হায়তুন আলম, দৈনিক রুপালি বাংলাদেশ জেলা প্রতিনিধি ইনসান সাগরেদ নিরাপদ খাদ্যে ভাস গড়ে তোলার বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুগ্মসচিব দিদারুল ইসলাম বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং নিরাপদ খাদ্যে গ্রহণের জন্য নিজেকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি গণসচেতনতা গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

হোটেল রেস্তোরা বেকারিতে খাদ্য উৎপাদনে ভেজাল নানা ক্যামিকেল অতিরিক্ত ব্যবহারের কথা শুনে তিনি নিরাপদ খাদ্য এখন সোনার হরিন বলে মন্তব্য করেন।নিরাপদ খাদ্য ভেজাল বিষয়ে যেকোন অভিযোগ, জিজ্ঞাসা বা পরামর্শের জন্য হট লাইন ১৬১৫৫ নাম্বারে ফোন দেওয়ার আহ্বান জানান সম্পূর্ণ টোল ফ্রি। এখানে যেকোন সিম অপারেটর দিয়ে ফোন দেওয়া যাবে কোনো প্রকার টাকা খরচ ছাড়া।

আরও পড়ুন...