র্যাব-১২ এবং র্যাব-১ এর যৌথ অভিযানে সিরাজগঞ্জের চাঞ্চল্যকর আশফাকুল হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান পলাতক আসামি কামরুল ইসলাম তালুকদার ঢাকা হতে গ্রেফতার।
চলতি বছরের গত ২০ অক্টোবর অনুমানিক সন্ধ্যা ০৬.১০ ঘটিকায় দুর্বৃত্তরা ভিকটিম আশফাকুল আউয়ালকে মোবাইল ফোনে সংবাদ দিলে ভিকটিম সিরাজগঞ্জ সদর থানাধীন কাঠের পুল নামক স্থান হতে নিজস্ব মোটরসাইকেলযোগে সিরাজগঞ্জ সদর থানাধীন উত্তোরণ/মহিলা কলেজের কাঁচা রাস্তায় প্রবেশ পথে হাতের ডান পার্শ্বে পৌঁছিয়ে উক্ত স্থানে মোটরসাইকেল রাখে এবং ভিকটিম এজাহারনামীয় আসামিদের “এ্যানজেল ফুড এন্ড বেকারী” এর অফিস কক্ষে প্রবেশ করে তাদেরকে উক্ত অফিস কক্ষে উপস্থিত পেয়ে ভিকটিম তার পাওনা টাকা চাইলে একপর্যায়ে তাদেরদের সাথে ভিকটিমের কথাকাটি হয়। ঘটনার এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা পরস্পর যোগসাজশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভিকটিম আশফাকুল আউয়ালকে গলা চেপে হত্যা করে।
অতঃপর দুর্বৃত্তরা ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার হীন উদ্দেশ্যে একপর্যায়ে ভিকটিমকে নিয়ে আভিসিনা হাসপাতালে নিয়ে জরুরী বিভাগে রেখে এজাহারনামীয় ২নং আসামি দেওয়ান শহিদুজ্জামান শুভ ভিকটিমের জামাতা মোহসেনুল মোমিনকে মোবাইল ফোনে জানায় যে, ভিকটিম আশফাকুল আউয়াল অসুস্থ্য এবং সে আভিসিনা হাসপাতালে ভর্তি আছে। অতঃপর ভিকটিমের বোন জামাতাসহ ভিকটিমের ভাই আভিসিনা হাসপাতালে গিয়ে ভিকটিমকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৩২, তারিখ-২৪ অক্টোবর ২০২৪, ধারা-৩০২/৩৪ দন্ড বিধি ১৮৬০।
উল্লেখ্য যে, উক্ত আসামিদেরকে দ্রুত গ্রেফতার এবং বিচারের দাবিতে এলাকাবাসী লিফলেট ও পোস্টার ছাপানোর মাধ্যমে মানববন্ধন করেন।
গতকাল মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ০৭.১৫ ঘটিকার সময় র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র্যাব-১২, সদর কোম্পানি সিরাজগঞ্জ এবং র্যাব-১, ব্যাটালিয়ন সদর, উত্তরা এর যৌথ আভিযানিক দল “ঢাকা জেলার ভাটারা থানাধীন খিলবাড়ি টেক এলাকায়” একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন এ্যানজেল ফুড এন্ড বেকারীর অফিস কক্ষে নৃশংসভাবে গলা চেপে চাঞ্চল্যকর আশফাকুল আউয়াল হত্যা মামলার এজাহারনামীয় অন্যতম প্রধান পলাতক আসামি কামরুল ইসলাম তালুকদারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামি মোঃ কামরুল ইসলাম তালুকদার (৫৫)। গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।