পিবিএ ডেস্ক: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ’ডুর্নকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নিউ জিল্যান্ড হেরাল্ড।
গত ১৫ মার্চ নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুইটি মসজিদে হামলায় ৫০ জন নিহত হওয়ার পর মুসলিমদের প্রতি সহমর্মিতা ও ঐক্য প্রকাশের জন্য ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছেন নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। হামলার পর পরই একে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি। শপথ নিয়েছেন হামলাকারীর নাম কখনও মুখে না আনার। হামলায় হতাহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মাথায় হিজাব পরতেও দেখা গেছে তাকে। এবার সে জাসিন্ডাকেই হত্যার হুমকি দিয়ে টুইটারে পোস্ট দেওয়া হলো।
জিল্যান্ড হেরাল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি টুইটার একাউন্ট থেকে ‘একটি বন্দুকের’ ছবি পোস্ট করে সেটির নিচে ‘এরপর আপনি’ ক্যাপশন লিখে প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো হয়।
অনেক টুইটার ব্যবহারকারী ওই পোস্টের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করলে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর টুইটার কৃর্তপক্ষ একাউন্টটি বন্ধ করে দেয়।
এ হুমকি নিয়ে তদন্ত করছে নিউ জিল্যান্ড পুলিশ। এরইমধ্যে ওই টুইটার অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় একটি পোস্টে জাসিন্ডার পাশাপাশি পুলিশকে হুমকি দিয়ে বলা হয় ‘এরপর আপনারা’। ওই পোস্টেও একইরকমের বন্দুকের ছবি যুক্ত করে দেওয়া হয়। নিউ জিল্যান্ডের স্থানীয় সময় ২২ মার্চ বিকাল চারটার আগেই ওই টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের এক মুখপাত্র নিউ জিল্যান্ড হেরাল্ডকে বলেন, ‘টুইটারে দেওয়া ওই মন্তব্যের ব্যাপারে পুলিশ অবগত আছে এবং এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
টুইটারের এক মুখপাত্র বলেন, টুইটারে সহিংস হুমকি প্রদান নিষিদ্ধ। ‘এ টুইটের ব্যাপারে প্রথম খবর পাওয়ার পর পরই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। ক্রাইস্টচার্চ হামলা সংক্রান্ত যেকোনও ধরনের সহিংস ও নীতিবিবর্জিত কনটেন্ট মুছে ফেলার জন্য আমাদের কর্মীরা নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।’ বলেন ওই মুখপাত্র। তদন্তের ক্ষেত্রে নিউ জিল্যান্ডের আইন প্রয়োগকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দেন তিনি।
এদিকে আজ ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদের সামনে হাগলি পার্কে হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে যোগ দেন জাসিন্ডা আরডার্ন। এদিনও তার মাথা স্কার্ফ দিয়ে ঢাকা ছিলো। তিনি বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে পুরো নিউ জিল্যান্ডই ব্যথিত। আমরা সবাই এক।’
পিবিএ/এএইচ