তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি স্থগিত

স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আন্দোলন করা সরকারী তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে বৈঠকে বসেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. এম আমিনুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে সচিবালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় সোয়া ২ ঘন্টার বৈঠকে সরকারী তিতুমীর কলেজ থেকে অংশ নেন ১৪ জনের একটি প্রতিনিধি দল।

সন্ধ্যা ৬.৩০ টা নাগাদ ক্যাম্পাসে ফিরে আসে প্রতিনিধি দলটি। এই সোয়া ২ ঘন্টার বৈঠকে মিলেছে আশ্বাস। রাত ৭.৩০ টাই এক সংবাদ সম্মেলন করেন তিতুমীর ঐক্যের বৈঠকে অংশ নেওয়া সমন্বয়কেরা।

শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী প্রফেসর ড. এম আমিনুল ইসলাম বলেছেন, “তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করা সম্ভব কী না সে বিষয়ে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে একটা কমিটি গঠন করা হবে। যারা ফিজিবিলিটি টেস্ট করবে।

তিনি আরো বলেন, “কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপ দেয়া খুব কঠিন। তবে উত্তরাঞ্চলে কোন বিশ্ববিদ্যালয় নাই। এছাড়া তিতুমীর কলেজের ১০ একর জমি রয়েছে। কমিটি সব বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত জানাবে। ”

তিতুমীর ঐক্যের অন্যতম সমন্বয়ক মাহমুদুল হাসান বলেন, কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি না। এটা ভুল। এই প্রেস কনফারেন্সের পর থেকে রাষ্ট্রপক্ষের প্রতি সস্মান দেখিয়ে ৭ দিন আমরা কোন আন্দোলন রাস্তায় করব না। একই সাথে “ক্লোজ ডাউন” কর্মসূচি থাকছে না। এই ৭ দিন আমরা থাকছি আমরা ক্যাম্পাসে কাউন্সিলিং করব,ক্যাম্পেইন করব।

যদি ৭ দিন পর দেখি কোনরকম অগ্রগতি নেই। তখন আমরা আমাদের পূর্বের কর্মসূচিতে ফিরে যাবো। সেটি “ক্লোজ ডাউন” এবং “মহাখালী টু বারাসাত ব্লকেড” কর্মসূচিতে ফিরব। তখন জনদূর্ভোগের দায় তিতুমীর কলেজের না,সেই দায়ভার হবে সরকারের।

তিনি এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, পুলিশের উপস্থিতি এবং তাদের জলকামানের উপস্থিতি সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভালভাবে নিচ্ছে না।

তিনি আরেক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমাদের আন্দোলনটি হুট করে আসেনি। এটা ২৭ বছরের একটা আন্দোলন। ২৭ বছর ধরে আমরা কলেজ কে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য আন্দোলন করছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকার সমস্যা কি? সেটির উত্তরে মাহমুদুল নলোন, আমাদের ফলাফল বিভ্রাটের কন্য একমাত্র দায়ী ঢাবি।

এর আগে দুপুর আড়াইটাই শিক্ষার্থীদের ১৪ জনের একটি প্রতিনিধি দল যায় সচিবালয়ে ১৪ সদস্যের এ দলে ছিলেন -মাহমুদ হাসান মুক্তার,মোশাররফ রাব্বি ,নেয়েক নূর মোহাম্মদ, আব্দুল হামিদ, নূরুদ্দিন জিসান, মতিউর রহমান জয়, জাহাঙ্গীর সানি, মেহেদী হাসান মাল, আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ বেল্লাল, আল নোমান নিরব, হাবিবুল্লাহ রনি, তোয়াহা, কাউসার।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল থেকেই মহাখালীর সরকারি তিতুমীর কলেজের ক্যাম্পাসের ভেতরে ফটকের কাছে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা ‘ক্লোজডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন।

এর আগে সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে তারা মহাখালী রেললাইনের ওপর অবস্থান নেন। এতে রেল ও সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তাদের এ কর্মসূচিতে বন্ধ হয়ে যায় সারাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ। রাজধানীজুড়ে দেখা দেয় তীব্র যানজট।

আরও পড়ুন...