জনগণকে সচেতন করে যে কোনো মূল্যে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেছেন, ষড়যন্ত্র এখনো থেমে যায়নি। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে- দেশের কোথাও কিছু একটা ষড়যন্ত্র চলছে। তাই জনগণকে সচেতন করতে হবে। জনগণকে সঙ্গে রাখতে হবে, থাকতে হবে। একই সঙ্গে দেশ ও জনগণকে নিয়ে আমাদের যে লক্ষ্য, সেই ৩১ দফার প্রত্যেকটি কথা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদেরকে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনপ্রতিনিধিরা জানবে যে তাদেরকে জনগণের কাছে ফিরে যেতে হবে। সেটি ভোটের জন্য হোক কিংবা জবাবদিহিতার জন্য হোক।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে বিএনপি’র প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির আয়োজিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’- শীর্ষক ঢাকাবিভাগীয় কর্মশালা লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১ দফা নিয়ে ঢাকা বিভাগের প্রত্যেকটি মহানগর, জেলা, উপজেলা মূল দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা কর্মশালায় অংশ নেন। বিএনপি’র প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির নেতারা দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ দেন। এ সময় রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কার নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও প্রশিক্ষকরা। এর আগে সকালে কর্মশালা উদ্বোধন করেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
তারেক রহমান বলেন, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় দেখেছি, অনেকেই অনেক সংস্কারের কথা বলছেন। দেশ ও জাতি নিয়ে বিএনপি দুই বছর আগে ২৭ দফা নিয়ে প্রস্তাবনা দিয়েছে। বিএনপি’র দেয়া ৩১ দফা আমাদেরকে (নেতাকর্মী) মাঠে নিয়ে যেতে হবে। শুধু ঘরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। দফায় উল্লেখ থাকা বিষয়গুলো প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছাতে হবে। বিএনপি’র মূল দলের নেতৃত্বে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন মিলে ভাগে ভাগে গ্রামে থেকে ইউনিয়নে ছোট ছোট উঠান বৈঠকের প্রস্তুতিও নিতে হবে।