রাজধানীর হাজারীবাগে যুক্তরাজ্য প্রবাসী চিকিৎসক এ কে এম আব্দুর রশিদ হত্যার রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা আব্দুর রশিদেরই বাসার ভাড়াটিয়া এবং বকেয়া ভাড়া চাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
হত্যাকাণ্ড জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তারের কথাও জানিয়েছে পুলিশ। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন— মো.নাইম খান (২২), মো.জাহিদুর রহমান রিফাত (২০) ও মো. আবু তাহের শিকদার শাওন (২২)। গতকাল খুলনার ডুমুরিয়া ও ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ বলছে, বকেয়া ভাড়া চাওয়া নিয়ে এ কে এম আব্দুর রশিদের সঙ্গে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। এ নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে নগদ অর্থ লুটের পরিকল্পনা থেকে ডা. রশিদকে খুন করে নাইম খান ও জাহিদুর।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদ আলম।
প্রাথমিক তদন্ত ও গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মাসুদ আলম বলেন, এ কে এম আব্দুর রশিদ বছরের অধিকাংশ সময় যুক্তরাজ্যে অবস্থান করতেন। মাঝেমধ্যে তিনি বাংলাদেশে আসতেন। গ্রেপ্তার নাইম খান ও জাহিদুর রহমান রিফাত, আব্দুর রশিদের বাসায় প্রবেশ করে টাকা পয়সা নেওয়ার পরিকল্পনাসহ ওই টাকা-পয়সা ব্যবহার করে রেষ্টুরেন্ট ব্যবসার পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা মোতাবেক ১৫ নভেম্বর রাত আড়াইটায় আবু তাহের শিকদার শাওনকে সাথে নিয়ে সীমানা প্রাচীর টপকে টাকা-পয়সা লুট করার জন্য বাসায় প্রবেশ করে বাকি দুজন। বিষয়টি টের পেয়ে আব্দুর রশিদ বাধা দিতে গেলে সেখানে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে ধারালো চাকুর আঘাতে গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মারা যান আব্দুর রশিদ।
এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই রেজাউল করিম বাদী হয়ে গত ১৫ নভেম্বর হাজারীবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্তকালে ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ বিশ্লেষণ, ঘটনার পূর্বের বিভিন্ন সময়ে ওই বাসায় মেস হিসেবে বসবাসকারী ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়।