‘দেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে এনজিওর ভূমিকা অপরিসীম’

রাজন্য রুহানি,জামালপুর: জামালপুরের জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম বলেছেন, দেশের উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এনজিওর ভূমিকা অপরিসীম।

তিনি আরও বলেছেন, শিশুদের বিকাশের ক্ষেত্রে ৫ বছর বয়সের মধ্যে বাবা-মাকে সচেতন থাকতে হবে। যারা মাঠপর্যায়ে সরকারি ও বেসরকারি কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তাদেরকে শিশুদের বিকাশের কৌশল সম্পর্কে মাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সচেতন করার করার কাজ করতে হবে। শিশুদের গাছপালা, নদীনালা, পশুপাখি, ফুলফসল এসব চেনাতে হবে। সাঁতার শেখা, মাছ ধরা, দৌড় পাড়া, মাটির সংস্পর্শে রাখার অভ্যাস সৃষ্টি করতে হবে।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে পৌরসভার বামুনপাড়া উদয়ন ক্লাব মাঠে অনুষ্ঠিত শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন। এ সময় ওয়ার্ল্ড ভিশন ও উন্নয়ন সংঘের এপির উদ্যোগে তালিকাভুক্ত দুই হাজার ৬০০ শিশুকে শীতবস্ত্র দেওয়া হয়।

বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত মায়েদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন, গর্ভে সন্তান আসার পর থেকে আপনাদের যত্নশীল হতে হবে। স্বাভাবিক প্রসব এবং স্তন্যপানে অনাগ্রহ থাকা যাবে না। শিশুর বিকাশে এ দুটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বিদ্যালয় থেকে ঝরেপড়া রোধ, পুষ্টিহীনতা দূর করা, শিক্ষা-সংস্কৃতি, ক্রীড়ানুরাগী হতে শিশুদের প্রতি বিশেষভাবে যত্নশীল হতে হবে। শিশুর সর্বোত্তম সুরক্ষা দিতে হবে।

জামালপুর পৌরসভা বামুনপাড়া উদয়ন ক্লাব মাঠে অনুষ্ঠিত শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লা।

সংস্থার মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিমের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশ সফরে আসা জাপান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক চিহিরু সাইতু, ওয়ার্ল্ড ভিশনের এপির এরিয়া ম্যানেজার বিমল জেমস কস্তা, উন্নয়ন সংঘের এপি ম্যানেজার মিনারা পারভীন, বিট পুলিশ অফিসার বিজন কুমার বিশ্বাস, নগর উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মিয়ার উদ্দিন মাস্টার, রাজনীতিক রফিকুল ইসলাম লনজু প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে উন্নয়ন সংঘ গত তিন বছরের অধিক সময় ধরে জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্বাস্থ্য, পুষ্টি, ওয়াস, জীবিকায়ন, স্পন্সরশিপসহ শিশুদের সর্বোত্তম সুরক্ষায় বহুমাত্রিক উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

জানা যায়, হংকং ও মালয়েশিয়ার অর্থ সহায়তায় ১০ বছরব্যাপী এ কর্মসূচি জামালপুরে বাস্তবায়ন হবে। জামালপুর পৌরসভা, সদর উপজেলার লক্ষ্মীরচর ও শরিফপুর ইউনিয়নে এপির কার্যক্রম চলছে।

আরও পড়ুন...