মসজিদে নববীর ইমাম পরিচয়ে প্রতারণা করা এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। একজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার যুবকের নাম মো. সবুজ (৩২)।
সিআইডি জানায়, এই প্রতারক ভুক্তভোগীর পারিবারিক সমস্যা সমাধান করে দেওয়ার কথা বলে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে মোট ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গতকাল (বুধবার) সিআইডি সাইবার পুলিশ সেন্টারের একটি টিম ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মুলাইপত্তন এলাকায় অভিযান চালিয়ে দরবেশ বাবা পরিচয়ে প্রতারণায় অভিযুক্ত মো. সবুজকে গ্রেফতার করে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে সিআইডির মুখপাত্র জানান, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আরিফা খাতুন (ছদ্মনাম) তার পুত্রবধূর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন। সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য ফেসবুকে একটি বিজ্ঞাপন দেখে তিনি কথিত দরবেশ বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। দরবেশ বাবা পরিচয়ে প্রতারক সবুজ নিজেকে সৌদি আরবের মসজিদে নববীর ইমাম হিসেবে পরিচয় দেন এবং ভুক্তভোগীর আস্থা অর্জন করেন।
মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে তিনি জানান, সমস্যার সমাধানে কিছু খরচ লাগবে এবং এটি গোপন রাখতে হবে। সমস্যার সমাধান না হলে তার ছেলে এবং পুত্রবধূর ক্ষতি হতে পারে বলে ভয় দেখান। বিশ্বাস অর্জনের পর ভুক্তভোগী মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রতারকের কাছে পাঠান। পরে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি কলাবাগান থানার গত ১৯ নভেম্বর মামলা করেন।
সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার মামলাটি তদন্ত করে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারকের অবস্থান শনাক্ত করে এবং ভোলার মুলাইপত্তন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. সবুজকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মো. সবুজ স্বীকার করেন, সে এবং তার এলাকার বেশ কিছু যুবক এ প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত। তারা ফেসবুক, ইউটিউব এবং ইমোতে নিজেদের দরবেশ বাবা পরিচয়ে প্রচারণা চালিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে আসছে। পুরো চক্রটি শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলমান।