রাজধানীর তুরাগের কামারপাড়া এলাকায় এক নারী এবং তার দুই বছর বয়সি শিশুকে এসিড নিক্ষেপ করে চেইন ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত সেই দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ওই ছিনতাইকারীর নাম নাঈম ওরফে বাবু (১৯)। বুধবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ সদর থানার চরদুর্লভা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে তুরাগ থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি জানান, গত ২১ নভেম্বর সকালে সাথী রানী (৩৬) তার দুই বছরের কন্যাসন্তান বিজু রানীকে নিয়ে কামারপাড়া বাজার থেকে কামারপাড়া পুরাতন থানা রোডের একটি বাসায় যাচ্ছিলেন। বাসার গেইটের সামনে পৌঁছালে অজ্ঞাত এক যুবক সাথী রানীকে রহিম নামক কোনো ব্যক্তিকে চিনে কিনা জিজ্ঞাসা করে। সাথী রানী কোনো উত্তর দেওয়ার আগেই অজ্ঞাত ওই যুবক তার সাথে থাকা একটি বোতল থেকে স্প্রে-এর মাধ্যমে সাথী রানী এবং বিজু রানীর মুখ লক্ষ্য করে এসিড নিক্ষেপ করে। এতে সাথী রানীর মুখের কিছু অংশ ও বিজু রানীর শরীরের কিছু অংশ ঝলসে যায়।
এসময় অজ্ঞাত ওই ভিকটিম সাথী রানীর গলায় থাকা স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তখন সাথী রানী চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য উত্তরার শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাদেরকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাসুর শ্রী চিবাস কুমার হালদারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তুরাগ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় বুধবার ময়মনসিংহ সদর থানার চরদুর্লভা গ্রামে অভিযান চালিয়ে নাঈমকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত নাঈম একজন পেশাদার ছিনতাইকারী। সে দীর্ঘদিন ধরে তুরাগ এলাকায় ছিনতাইয়ের কাজে জড়িত। ঘটনার দিন সে ভিকটিমের গলার চেইন ছিনতাইয়ের উদ্দেশে সাথী রানী এবং বিজু রানীকে এসিড নিক্ষেপ করে।
গ্রেফতারকৃত নাঈমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা তালেবুর রহমান।