দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কোনো হামলা হলে সঠিক তথ্য সংগ্রহে ধর্মীয় নেতাদের সহযোগিতা কামনা করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দেশের ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সংলাপে তিনি এ সহযোগিতা কামনা করেন।
সংলাপে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতারা যোগ দেন। সংলাপে সূচনা বক্তৃতায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তথ্য সরবরাহকারীরা যেন সমস্যায় না পড়েন সেজন্য কীভাবে নিরাপদে তথ্য সংগ্রহ করা যায় তা জানতে আজকের সংলাপে আসার আহ্বান জানিয়েছি।
জুলাই বিপ্লবের পর ৮ আগস্ট বিদেশ থেকে ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছে ড. ইউনূস বলেছিলেন, মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা সবাই একটি পরিবার এবং আমরা একই পরিবারের সদস্য। আমরা একে অপরের শত্রু নই। আমরা সবাই বাংলাদেশি।
পরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের বিষয়টি উঠেছিল, যা আমাকে দুঃখ দিয়েছে।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপিত হয় এবং সর্বস্তরের মানুষ এতে যোগ দিয়ে দুর্গাপূজাকে জাতীয় উৎসবে পরিণত করে।
এখন সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়টি আবারও উঠে এসেছে এবং বিদেশি গণমাধ্যম এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, বাস্তবতা ও বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের মধ্যে তথ্যের ফারাক রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার কোনো ঘটনা ঘটলে অবিলম্বে এ ধরনের ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
প্রধান উপদেষ্টা এ ধরনের ঘটনা রোধে একটি পরিবেশ সৃষ্টির ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের তাৎক্ষণিক প্রতিকার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয় আমি যা বলেছি, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ তাতে একমত।