মেজর পরিচয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে ব্ল্যাকমেইল করেন তিনি

নিজেকে মেজর পদমর্যাদার সেনা কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে এক নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও ধারণ করে ওই নারীকে ব্লাকমেইল করে সেন্টু বিশ্বাস নামের এক প্রতারক গ্রেফতার হয়েছেন।

মঙ্গলবার সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের (সিপিসি) একটি টিম অভিযান গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে বলে জানান সিআইডি বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. আজাদ রহমান।

আজাদ রহমান বলেন, শামীমা (ছদ্ম নাম) স্বামীর সাথে বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার পর দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করছিলেন। ২০২১ সালে তার সাথে পরিচয় হয় সান্টু বিশ্বাস (৩৯) নামক এক ব্যক্তির, যে নিজেকে একজন মুসলিম এবং মেজর পদমর্যাদার সেনা কর্মকর্তার পরিচয় দেয়।সান্টু বিশ্বাস তার কথা দিয়ে শামীমার বিশ্বাস অর্জন করে এবং শামীমার সরলতার সুযোগ নিয়ে বিবাহ বন্ধনের মিথ্যা ডকুমেন্টস তৈরী করে তাতে স্বাক্ষর নিয়ে নেয়। এরপর স্বামী-স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে তারা বিভিন্ন সময় ও স্থানে শারীরিক সম্পর্ক করতে থাকে। এসময় সান্টু বিশ্বাস গোপনে তাদের ব্যক্তিগত ভিডিও ও ছবি ধারণ করে রাখত। সান্টু সেনা কর্মকর্তা ছাড়াও নিজেকে ঢাকা-যশোর রুটের যশোর ট্রাভেলস নামক পরিবহন ও বিশ্বাস গার্মেন্টসের মালিক হিসেবে পরিচয় দেয় এবং প্রাতিষ্ঠানের বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে শামীমার নিকট থেকে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়।

একপর্যায়ে ওই নারী বুঝতে পারেন সান্টু বিশ্বাস আসলে কোনো সেনা কর্মকর্তা নয় এবং সান্টুর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। তবে সান্টু থেমে না থেকে কিছুদিন পর ফের শামীমার সাথে যোগাযোগ শুরু করে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তার অশালীন ছবি ও ভিডিও প্রকাশের হুমকি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ৮ মে সান্টু বিশ্বাস শামীমা ও তার ছেলের মোবাইলে কিছু আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও পাঠিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবী করে।

এই ঘটনার পর শামীমার ছেলে লালবাগ থানায় একটি পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন মামলা রজু করে। মামলাটির তদন্তভার সিআইডি গ্রহণ করার পর অভিযুক্ত সান্টু বিশ্বাসকে গাজিপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রথামিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সাথে জড়তি থাকার সত্যতা স্বীকার করেছে।

আরও পড়ুন...