শুধু একটা নির্বাচন কিংবা ভোটের জন্য এত এত মানুষ জীবন দেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদ হলরুমে অসহায় ও দুস্থ মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘এই গণ-অভ্যুত্থানের যে এক দফা ছিল, তা হলো স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন ও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ বলতে আমরা স্পষ্টভাবে বুঝি, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ফ্যাসিজমের মধ্য দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস অবস্থায় রেখে যাওয়া হয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে। সেই জায়গা থেকে, এক দফা বাস্তবায়নের জায়গা থেকে আমরা মনে করি, সংস্কারের কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু একটা নির্বাচন কিংবা ভোটের জন্য এত এত মানুষ জীবন দেয়নি। আমরা ধারণা করছি, ২ সহস্রাধিক মানুষ শহীদ ও ২০ হাজারের বেশি আহত।’
শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিরাও সংস্কারের কথা বলছেন মন্তব্য করে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘এই সরকারের ক্লিয়ার ম্যান্ডেট হচ্ছে, আমরা সংস্কার কার্যক্রমগুলো করব। আপনারা জানেন, আমাদের কমিশনগুলোর তিন মাসের মতো সময় হয়ে যাচ্ছে; তারা প্রস্তাবনা দেবে। তারপর যারা স্টেকহোল্ডার আছে, তাদের সঙ্গে কথা বলে সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে একটা নির্বাচনের দিকে যাব।’
আন্দোলনে ঠাকুরগাঁওয়ের আহত ব্যক্তিরা সরকারি সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে জানানো হলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ের আহত কয়েকজনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। যারা এখানে প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে, তাদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যাপারে আরও কীভাবে সহযোগিতা করা যায়, বিষয়টি কেন্দ্রীয়ভাবে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের যাঁরা দেখেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা করেছি। আশা করি, সামনের দিনে আর এই সমস্যাগুলো থাকবে না।’
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘জনগণ যেভাবে চায়, আমরা সেভাবে বাংলাদেশকে গড়তে চাই। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান যেন জনবান্ধব হয়ে কাজ করতে পারে, সেভাবেই গড়ে দিয়ে যেতে চাই।’
এ সময় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ঠাকুরগাঁও কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মামুন বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সরদার মোস্তফা শাহিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিজা বেগম, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার দেবনাথ প্রমুখ বক্তব্য দেন।