
মাগুরা জেলার সদর থানা এলাকায় “চাঞ্চল্যকর শরিফুল হত্যা মামলার” অন্যতম প্রধান আসামী আসলাম গাজীকে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।
মাগুরা জেলার সদর এলাকায় বসবাসকারী শরিফুল ইসলাম শেখ দীর্ঘদিন বিদেশ থাকার পর গত এক বছর আগে দেশে ফিরে ব্যবসা শুরু করে। গত ১৯ ডিসেম্বর দুপুর ১২.৩০ ঘটিকায় স্থানীয় বাজারে জনৈক সঞ্জীবনের সেলুনে চুল কাটার জন্য গেলে গ্রাম্য দলাদলি ও পূর্ব শত্রুতার জেরে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা আসলাম গাজীসহ ২৫-৩০ জনের একটি দল উক্ত সেলুন হতে ভিকটিম শরিফুলকে টেনে হিঁচড়ে বের করে পাকা রাস্তার উপর নিয়ে আসে। এরপর তারা দলবদ্ধ হয়ে রামদা,ছ্যানদা,চাপাতি,দা,চাইনিজ কুড়াল,লোহার রড সহ মারাত্মক অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভিকটিম শরিফুলকে ঘিরে ধরে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে শুরু করে। আসামীদের উপর্যুপরি আক্রমনে শরিফুল গুরুত্বর রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হয় এবং ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করে। এমতাবস্থায় আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
উক্ত ঘটনায় মৃত ভিকটিম শরিফুলের বাবা শেখ গোলাম আকবর বাদী হয়ে মাগুরা জেলার মাগুরা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-২৫, তারিখ-২২/১২/২০২৪, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড। মামলা রুজুর বিষয়টি জানতে পেরে আসলাম গাজীসহ অন্যান্য আসামীরা আত্মগোপনে চলে যায়।
উক্ত হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়াতদন্ত শুরু করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) আনুমানিক দুপুর ১৪:৩০ ঘটিকায় র্যাব-১০ এর উক্ত যৌথ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং তথ্য-প্রযুক্তি সহায়তায় ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে শরিফুল ইসলাম শেখ হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী আসলাম গাজী (৩৫)’কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত হত্যাকাণ্ডে তার সরাসরি সম্পৃক্তার কথা স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।