নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্রুনাল-১ এর অফিস সহায়ক আব্দুল মান্নান মিয়া’কে জোরপূর্বক আটকে রেখে ৩৫০০০/- টাকা মুক্তিপণ আদায়; চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় আটককারী চক্রের সদস্য রমজান’কে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) র্যাব-১০ এর সহকারী মিডিয়া কর্মকর্তা ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রোববার (১২ জানুয়ারি) বিকাল আনুমানিক ১৭.৩০ ঘটিকায় পারিবারিক কাজে ভিকটিম আব্দুল ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন চুনকুটিয়া এলাকায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্রুনাল-১ এ অফিস সহায়ক আব্দুল মান্নান মিঁয়া ঢাকার দক্ষিণ কেরণীগঞ্জ থানাধীন পাসপোর্ট অফিস এলাকায় গেলে সেখানে অবস্থানকারী আটককারী চক্রের সদস্য রমজান (২৩)-সহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা তাকে জোরপূর্বক আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। একই তারিখ রাত অনুমান ০৭.০০ ঘটিকার সময় আটককারী চক্রের সদস্যরা ভিকটিম আব্দুল মান্নানকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে তার বাসায় ফোন করে বিকাশের মাধ্যমে ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠাতে বলে। ভিকটিমের স্ত্রী বিকাশের মাধ্যমে দুই দফায় প্রথমে ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা এবং এরপর আরও ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকাসহ সর্বমোট ৩৫,০০০/- (পয়ত্রিশ হাজার) টাকা আটককারী চক্রের সদস্যদেরকে পাঠায়। টাকা পাওয়ার পরও আটককারীরা ভিকটিমকে ছেড়ে না দিয়ে আরও টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।
পরবর্তীতে উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে মোঃ সাদ ইবনে সাদিক (১৯) ভিকটিম আব্দুল মান্নান মিয়া’কে আটককারীদের নিকট হতে উদ্ধার করার জন্য অধিনায়ক, র্যাব-১০, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। উক্ত ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব-১০ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
গতকাল রাত ২২.৫০ ঘটিকায় র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন ধলেশ্বরী টোল প্লাজা এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্রুনাল-১ এর অফিস সহায়ক আব্দুল মান্নান মিয়া’কে আটক করা আটককারী চক্রের সদস্য রমজান (২৩)’কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।