বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনীর পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সোমবার (২০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
এ সময় অন্যদের মধ্যে সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পুলিশ বাহিনী সংস্কারের দাবি ওঠে। একই সঙ্গে পুলিশের পোশাক পরিবর্তন দাবি ওঠে।
পুলিশ, র্যাব ও আনসারের পোশাক পরিবর্তনের কারণ জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সবার মন-মানসিকতা পরিবর্তন করা জরুরি। সে জন্য পুলিশ, র্যাব ও আনসারের পোশাক পরিবর্তন করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পুলিশের পোশাক হবে লোহার (আয়রন) রঙের। র্যাবের পোশাক হবে জলপাই (অলিভ) রঙের। আর আনসারের পোশাক হবে সোনালি গমের (গোল্ডেন হুইট) রঙের।
কবে থেকে পোশাক পরিবর্তন হবে, জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ধীরে ধীরে পরিবর্তন হবে। পুলিশকে জনবান্ধব করতে হলে বাহিনীটির প্রশিক্ষণে পরিবর্তন আনতে হবে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এদিকে সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ব্যবহারের জন্য সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই তথ্য জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে দেখা যাচ্ছে, বিএসএফ কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করছে। বিজিবির কাছে কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নেই। তাদের কাছে শুধু প্রাণঘাতী অস্ত্র আছে। এমন বাস্তবতায় বিজিবির জন্য কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী তাঁরা ব্যবহার করবে। তবে সীমান্ত এখন স্থিতিশীল আছে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
জাহাঙ্গীর আলম জানান, বাংলাদেশে অনেকে অবৈধভাবে বসবাস করছেন। তাঁদের ভিসার মেয়াদ শেষ। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ৪৯ হাজার ২২৬। সেটি কমে এখন দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৬৩৮। বৈধ হওয়ার আবেদন থেকে ১০ কোটি টাকা আয় হয়েছে। যাঁরা অবৈধ অভিবাসীদের থাকতে সহায়তা করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।