খুলনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের লিডারসহ আটক ২

পিবিএ,খুলনা ব্যুরো: খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)’র এক বিশেষ অভিযানে  গতকাল বুধবার (২২ জানুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের লিডারসহ দুই জনকে আটক করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড সিপি) মোহাঃ আহসান হাবীব এক প্রেস ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের মাধ্যমে তারা জানতে পারেন একটি পিকআপে ৬/৭ জনের একদল ডাকাত, ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে মহানগরীতে প্রবেশ করেছে। উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবে সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম সংঘবদ্ধ ডাকাত দলকে আটকের উদ্দেশ্যে নগরীর ময়ূর ব্রীজের সামনে চেকপোস্ট শুরু করে। এসময় চেকপোস্টে একটি সন্দেহভাজন পিকআপকে সিগন্যাল দিলে পিকআপটি দ্রুত গতিতে জয়বাংলার মোড়, জিরোপয়েন্ট হয়ে রূপসা ব্রীজের দিকে পালাতে থাকে। পুলিশ পিকআপটির পিছু ধাওয়া করলে একপর্যায়ে পিকআপটি রূপসা ব্রীজের টোল প্লাজার বেরিকেড ভেঙ্গে রূপসা থানাধীন কুদির বটতলা পৌঁছালে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় ডাকাতদলের ২ জনকে আটক করতে সমর্থ হয়, বাকিরা পালিয়ে যায়।

আটককৃতরা হলেন:- বাগেরহাট জেলার রামপাল থানার ইসলামাবাদ গ্রামের মৃতঃ এসকেন শেখের পুত্র মোঃ মিজানুর রহমান ওরফে মিজান শেখ ওরফে সুমন (৩৫), যিনি বর্তমানে বাগেরহাটের মোল্লারহাট থানার বুড়িগাংনি গ্রামে বসবাস করেন। মিজানুর রহমান ওরফে মিজান শেখ ওরফে সুমন আন্তঃজেলা ডাকাত দলের লিডার বলে তিনি জানান। এবং অপরজন হলেন, বাগেরহাট জেলার রামপাল থানার শংখনগর ফয়লা গ্রামের মোঃ বরকত আলীর পুত্র মোঃ ইয়াদ আলী (৩২)। এসময় তাদের হেফাজত হতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ৩টি রামদা, ১টি কাটার, ১টি লোহার পাইপ, ২টি রডসহ পিকআপটি উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় ৩৯৯/৪০২ পেনাল কোড ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-২৪, তারিখ-২৩/০১/২০২৫। পালিয়ে যাওয়া অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে। থানার রেকর্ডপত্র এবং সিডিএমএস পর্যালোচনা করে মিজানুর রহমান ওরফে মিজান শেখ ওরফে সুমন এর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় চুরি, ডাকাতি এবং দস্যুতার ৭টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন...