আগারগাঁওয়ে জুলাই আন্দোলনে আহতদের বিক্ষোভ

সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবন থেকে শুরু করে টিবি হাসপাতালের রাস্তা বন্ধ করে রেখেছেন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত একদল ব্যক্তি।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ অবস্থা দেখা গেছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা থেকেই তাঁরা অবস্থান নিয়েছিলেন বলে জানান এই ব্যক্তিরা।

আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবন, ২৫০ শয্যার টিবি হাসপাতাল ও জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সামনে অবস্থান নিয়েছেন এই ব্যক্তিরা। এসব এলাকা দিয়ে যানবাহন যেতে দেওয়া হচ্ছে না। রোগী বা অ্যাম্বুলেন্স দেখে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় এই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আশপাশে দেখা দিয়েছে যানজট।

চিকিৎসাসেবা ঠিকমতো পাচ্ছেন না—এমন অভিযোগ করে গতকাল রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের ভেতরে বিক্ষোভ দেখান জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত এই ব্যক্তিরা। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন। রাতেও বিক্ষোভ চলে। কিন্তু বেলা ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ প্রশমনে সরকারের পক্ষ থেকে কেউ আসেননি।

সড়কে অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছিলেন কবির হোসেন। আন্দোলনের সময় তাঁর চোখে গুলি লেগেছিল। কবিরের বাড়ি মিরপুর–১১–তে। তিনি বলছিলেন, তাঁর চোখে সমস্যা আছে। জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালেই ছিলেন। তবে এখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাসায় গেলেই অসুখ বেড়ে যায়। হাসপাতালে এলে একটা ড্রপ ও ব্যথার ওষুধ দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর সুকিচিৎসা দরকার।

বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা বলছেন, যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁদের কারও এক চোখে আঘাত, আবার কারও দুই চোখে আঘাত লেগেছে। অনেকের আঘাত গুরুতর। কিন্তু তাঁদের অনেকেই সঠিক চিকিৎসা পাননি।

আজ বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ রাস্তার মাঝে চাদর বিছিয়ে শুয়ে আছেন। রাস্তার মাঝে বেঞ্চ পেতেও বসে আছেন অনেকে।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, জুলাই ফাউন্ডেশন থেকে সহায়তা পাওয়ার প্রক্রিয়া ধীরগতির; তা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে।

এখন হাসপাতালে যাঁরা আছেন, তাঁদের চিকিৎসা ঠিকমতো করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। এ জন্য সুচিকিৎসা দিতে হবে, প্রয়োজনে বিদেশে পাঠাতে হবে।

বিক্ষোভকারীদের একজন মো. দুলাল। তিনি হাতে আঘাত পেয়েছিলেন। দুলাল বলেন, তিন মাসে আগে সরকারের পক্ষ থেকে সুকিচিৎসার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই পর্যন্তই। এখন পর্যন্ত কোনো ভালো চিকিৎসা তিনি পাননি।

এখন বিক্ষোভকারীরা বলছেন, সরকারের কেউ এখন তাঁদের খোঁজখবর আর নেন না। আন্দোলনে তাঁদের অবদান রয়েছে। এখন তাঁদের সুচিকিৎসার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে এ আন্দোলনের ক্ষেত্রে তাঁদের অবদানের জন্য।

আরও পড়ুন...

preload imagepreload image