হাসিন আরমান,কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রকৌশল অনুষদের উদ্যোগে ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি ফর প্রেডিক্টিং রেটিনাল ডিজিজ, স্ট্রোক এন্ড হার্ট অ্যাটাক: এ পাথওয়ে ফ্রম কনসেপ্ট টু ক্লিনিক্যাল সেটিংস’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২ ফেরুয়ারি) প্রকৌশল অনুষদের কনফারেন্স রুমে ইনফেরশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কারিশমা মেহজাবিনের সঞ্চালনায় সকাল ১১টার দিকে সেমিনারটি শুরু হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান। সেমিনারটির সভাপতিত্ব করেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মাহমুদুল হাসান এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের আইহেলথস্ক্রিন ইনক’র প্রধান গবেষক ও সিইও আলাউদ্দিন ভূঁইয়া।
সেমিনারটিতে এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি বিষয়ক বিভিন্ন টুলস্, ব্যবহার এবং এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, ‘এআই নিয়ে অনেক কথা চলছে, ওনি হয়তো তোমাদের একটা হেল্থ মডেল দিবে। কিন্তু আমি আপনাদের বলবো, এই এআইয়ের যুগে এডুকেশন সিস্টেম, অ্যাসাইনমেন্ট ইভালোয়েশন কি হবে তা নিয়ে ভাবতে৷’
তিনি আরও বলেন, ‘তোমরা শিখার একটা সুযোগ পেয়েছো। এই শেখাটা যেন ইন্টারেক্টিভ হয়। না বুঝে কেউ মাথা নিচু করে চুপ থাকবে না। আর শেখার ক্ষেত্রে ল্যাংগুয়েজ কোনো ভেরিয়ার না৷ এআইয়ের যুগে ভাষাকে ভয় পাবা না। আজকের এই সেমিনার সবার উপকৃত হোক এই কামনা করি।’
বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে এআই ব্যবহার উপলব্ধি করছি এবং বিভিন্ন সমস্যায় এর দ্বারস্থ হচ্ছি। আমাদের একটা জিনিস ভবতে হবে, মানুষের সাথে এআইয়ের পার্থক্য কী? মানুষের সাথে এআইয়ের পার্থক্য হচ্ছে জাজমেন্টাল পাওয়ার, যেটা এআইয়ের নাই। আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে এআই যেন আমাদের নিয়ন্ত্রণ না করে।’
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলাইমান, ‘এই চতুর্থ বিপ্লবের সময়ে এসে মানুষ ইনফরমেশনকে অনেক বড় একটি শক্তি মনে করছে৷ এটার একটা বাস্তব নমুনা হচ্ছে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।আগামী বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে যে দক্ষ জনশক্তি দরকার আশা করি তারাই এখানে আছে৷ এখন তোমাদের চিন্তা, মননে, মস্তিষ্কে এই ধারণাটা যদি সঞ্চয় থাকে তাহলে আমাদের অগ্রযাত্রা সহায়ক হবে৷ বর্তমান প্রযুক্তির চাকা ঘুরাতে আমাদের প্রযুক্তির সাহায্য নিতে হবে৷ সেই প্রযুক্তিতে নাবিকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হবে আজকে এখানে যারা উপস্থিত সেই কামনা করি৷’
সেমিনারের সভাপতি ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘ইঞ্জিনিয়ার ফ্যাকাল্টি বরাবরই এরকম সেমিনারের আয়োজন করে থাকে৷ গত বছরও আমরা এরকম দুটি আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করেছি। যার ফলশ্রুতিতে আমেরিকা, জাপান, মালেশিয়া থেকে বিভিন্ন সায়েন্টিস্টরা আমাদের সাথে কানেক্টেড হয়েছেন এবং এখানে এসেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আশা করবো ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টি এরকম নতুন নতুন সেমিনার সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করবে। আমাদের এই আয়োজনে প্রশাসন আমাদের সবসময় সহযোগিতা করে আসছে, সামনেও আমাদের সহযোগিতা করবে বলে আমরদ প্রত্যাশা করি।’