বঙ্গবন্ধু হত্যার সময় সারারাত আমেরিকা ও পাকিস্তানি দূতাবাস খোলা ছিল : মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

পিবিএ, ঢাকা : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকা ও যুদ্ধাপরাধ পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। সেইসঙ্গে বিসিএস পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের বিষয়বস্তুর ওপর ১০০ নম্বর যোগ করার পরিকল্পনা চলছে বলেও জানান তিনি।

আজ রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত একাত্তরের ২৫ মার্চের গণহত্যা ও আমাদের ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায় করতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। জাতিসংঘে এ দাবি উপস্থাপন করলে যাতে কেউ বিরোধিতা না করে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রদূতরা সেই কাজ করছেন। এ দাবি আদায়ে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।

ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ করে মন্ত্রী বলেন, জামায়াতের গণহত্যা, ধর্ষণ নতুন প্রজন্ম যেন ভুলে না যায়, সেজন্য তাদের স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ড পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। আর যারা গণহত্যার সংখ্যা নিয়ে বিরোধিতা করে, তারা স্বাধীনতা মানে না। যারা সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিচার হওয়া দরকার।

মুক্তিযুদ্ধ
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার গতিশীল করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, রাজাকারদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এই বিচার আরও ব্যাপকভাবে করা হবে। স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত যারা করে, তাদের সন্তানদের সরকারি চাকরি দেয়া যাবে না, এটা এখন জাতীয় দাবি। এ ব্যাপারে কাজ করছে সরকার।

জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী বলেন, জিয়ার যুদ্ধ করা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। বিতর্ক আছে আরেক খুনি খন্দকার মোশতাক আহমেদেরও ভূমিকা নিয়ে।

তিনি আরও বলেন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সময় সারারাত আমেরিকা ও পাকিস্তানি দূতাবাস খোলা ছিল, এটা রহস্যজনক। এটা নিয়ে গবেষণা-কাজ চলছে, এটার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা হবে।

এদিকে, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, সমালোচনা না থাকলে কাজের মূল্যায়ন সম্পর্কে জানা যায় না। এক্ষেত্রে সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।

আজ (রোববার) প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, একটি জাতি বা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা সিদ্ধান্ত নেন, সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন করেন আমলারা। আর এসব কাজের সমালোচনা করে দোষ বা ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দেয় সাংবাদিকরা। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে আরো সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। কারণ প্রযুক্তি ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন...