গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনতাই ও পুলিশের ওপর হামলা হওয়ার পর সারারাত টুঙ্গিপাড়া থানা পাহারা দিয়েছে সেনাবাহিনী।
গতকাল সন্ধ্যায় খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে লিফলেট বিতরণ করছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লিফলেট বিতরণ বন্ধ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ স্থানীয় মুদি দোকানি সাফায়েত হোসেনকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছিল।
এ সময় মসজিদের মাইকে ডাক দিয়ে পুলিশের গাড়ি আটকে ভাঙচুর ও কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে তাদের ওপর হামলা চালান স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থকেরা।
পরে থানার ওসিসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এলে তারাও তোপের মুখে পড়েন। ঘটনাস্থলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় একজনকে আটক করে পুলিশ। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তা দিতে বেশ কয়েকটি সাঁজোয়া যান নিয়ে সেনাবাহিনী টুঙ্গিপাড়া থানার সামনে সারারাত অবস্থান করে। এ ছাড়া টুঙ্গিপাড়া থানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মঈনুল হোসেন জানান, মসজিদে মাইকে ঘোষণা শুনে ছুটে গিয়ে দেখি পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে ফেলে রাখা হয়েছে। এসময় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যদেরও অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম বলেন, আমাদের থানাসহ সব পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তাজনিত কারণে সাঁজোয়া যানসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা থানার চারপাশে অবস্থান করছে। হামলায় আমিসহ বেশ কয়েকজনকে আহত হয়েছি। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।