
জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশের দাবি জানিয়েছে ডব়্প যুব ফোরামের সদস্যরা।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ডব়্প যুব ফোরাম আয়োজিত জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশের দাবিতে মানববন্ধন শীর্ষক অনুষ্ঠানে এমন দাবি জানায় তারা।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বিইউপি, ঢাকা কলেজ, গভঃ বাংলা কলেজ, খিলগাঁও মডেল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য ডব্লিউএইচও ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোবাকো কন্ট্রোল-এফসিটিসির সাথে সামঞ্জস্য রেখে, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রণীত খসড়ার সংশোধনীগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ৬টি প্রস্তাব তুলে ধরে ডব়্প যুব ফোরাম। সেগুলো হলো- অধূমপায়ীদের সুরক্ষার জন্য সকল প্রকার পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা, তামাক পণ্যের প্রচার বন্ধ করার জন্য বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকপণ্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেট বা ইমার্জিং হিটেড টোব্যাকো প্রডাক্ট উৎপাদন, ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা, তামাকপণ্যের সকল প্রকার খুচরা ও খোলা বিক্রয় বন্ধ করা ও সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা।
অনুষ্ঠানে যুব প্রতিনিধিরা আরও বলেন, বাংলাদেশের ৪৮% জনগোষ্ঠী তরুণ, অথচ তামাক কোম্পানির কূটকৌশলের শিকার হয়ে ৯.২% তরুণ ইতোমধ্যে ধূমপানে আসক্ত। শিশু-কিশোরদের লক্ষ্য করে তামাক পণ্য আকর্ষণীয় মোড়কে বিক্রয়কেন্দ্রে প্রদর্শন করা হয়, যাতে তারা কৌতূহলী হয়ে আসক্তিতে জড়িয়ে পড়ে।
খুচরা শলাকা বিক্রির সুযোগ থাকায় টিফিনের টাকা দিয়েই কিশোররা তামাক কিনতে পারছে। এই প্রবণতা বন্ধ না হলে লাখ লাখ তরুণ ধ্বংস হবে। আমাদের দাবি— অবিলম্বে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশ করে তরুণদের এই প্রাণঘাতী আসক্তি থেকে রক্ষা করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ডর্প বিগত ১৯৮৭ সাল থেকে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচীর সাথে জড়িত এবং মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রবর্তনকারী সংস্থা হিসাবে সমধিক পরিচিত। এরই ধারাবাহিকতায় ডর্প বর্তমানে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ এবং তামাক কর ও মূল্য বৃদ্ধি বিষয়ে কাজ করছে এবং সরকারের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।