
মো: এনামুল হক,খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় রায়ন ইসলাম সায়মন (৯) নামে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে বেত্রাঘাতে আহত করার ঘটনা ঘটেছে।
রোববার ২৩ ফেব্রুয়ারী বিকালে উপজেলার পলাশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক রহিমা আক্তার তাকে পিটিয়ে আহত করেন। সায়মন স্থানীয় কৃষক রাব্বি হোসেনের ছেলে।
জানা যায়,সায়মন শান্ত স্বভাবের ,ক্লাসে অন্যান্য শিশুদের মত দূরন্তপনা নয়। রোববার বিকালে বাংলা ক্লাসে পড়া বলতে না পারায় শ্রেণী শিক্ষক রাহিমা আক্তার অবর্ণনীয় বেত্রাঘাত করে। এতে শিশুর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয় এবং অসুস্থ্য হয়ে পড়লে মাটিরাঙ্গা সাবাস্থ্য কমেপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কিডনিসহ আরও কিছু পরীক্ষা নিরিক্ষা করার পরামর্শ দেন বলে জানান ভুক্তভোগীর মা নুরজাহান।
অভিযুক্ত শিক্ষিকা রহিমা আক্তার দায় স্বীকার করে বলেন, ছেলেটি পড়া না বলায় রাগের মাথায় তাকে একটু বেশি বেত্রাঘাত করেছি। এভাবে মারা ঠিক হয়নি বলে স্বীকার করেন তিনি।
বিষয়টি অনাকাংখিত উল্লেখ করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শামীমা আক্তার বলেন, ঘটনাটি বিদ্যালয় পর্যায় সীমাবদ্ধ রেখে সমাধান করান চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। ঘটনা তার নিয়ন্ত্রণের বাহিরে বলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন।
এসময় ঘটনা ধামাচাপা দিতে সংবাদ প্রকাশ না করতে অনুরোধ জানান তিনি। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোপ বিরাজ করছে। শিক্ষিকার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশ্রাফুল আলম সিরাজি জানান, বিষয়টি অবগত হয়ে ইতিমধ্যে বিদ্যালয় পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন এবং ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সাথে কথা বলেছেন। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করাহবে বলে জানান তিনি।
মাটিরাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো: হাসিবুল হক জানান, বিষয়টি অবগত হয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আলম জানান, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিুক্তের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট্য দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।