
পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি একেএম শহিদুর রহমান জানিয়েছেন, রমজানে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাজধানীসহ সারাদেশে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদারে র্যাব নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক টহল মোতায়েন রয়েছে।
সোমবার (১০ মার্চ) রমজানে রাজধানীবাসীর নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে র্যাব পরিচালিত রোবাস্ট পেট্রোল ও বিশেষ চেকপোস্ট সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, রমজান ঘিরে বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণি বিতানে প্রচুর কেনাবেচা, আর্থিক লেনদেন ও জনসমাগম হয়ে থাকে। কিছু অসাধু চক্রের দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও ভেজালযুক্ত খাবার বিপণন পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। এছাড়া বর্তমানে ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতির মাত্রা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হচ্ছে। দেশব্যাপী রমজানে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য রয়েছে র্যাবের কন্ট্রোল রুম, স্ট্রাইকিং রিজার্ভ, ফুট ও মোবাইল পেট্রোল, রোবাস্ট পেট্রোল ও বিশেষ চেকপোস্ট।
র্যাব ডিজি বলেন, অধিকাংশ মানুষ কেনাকাটার জন্য বিভিন্ন মার্কেট, বাজারে গমনাগমনকালে পথে অনেক সময় ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। রমজানে বিভিন্ন মার্কেট, বাজারে বেচাকেনা তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ায় এসব স্থানে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্যও বাড়ে। এ ধরনের অপরাধ রোধে ব্যাটালিয়নগুলোর নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় অভিযান চলমান রয়েছে এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
ইফতার ও তারাবির নামাজের সময় বিভিন্ন এলাকায় পার্কিং করা গাড়ি চুরি ও ছিনতাই রোধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
র্যাব মহাপরিচালক আরও বলেন, দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় ঈদের আগে বিভিন্ন বাস স্টেশন, রেল স্টেশন, লঞ্চ টার্মিনাল ও সংলগ্ন এলাকায় উপস্থিতির মাধ্যমে যাত্রী হয়রানি এবং টিকিটের উচ্চমূল্য, কালোবাজারি, অতিরিক্ত যাত্রীবহন সংক্রান্ত অনিয়ম রোধকল্পে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে ও অভিযান চলমান রয়েছে। ব্যাটালিয়ন নিজ নিজ কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করছে। র্যাব সদরদপ্তরে কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে ঢাকাসহ সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় করা হচ্ছে।
এছাড়া ভার্চুয়াল জগতে রমজান ঘিরে যে কোনো ধরনের গুজব, উসকানিমূলক তথ্য, মিথ্যা তথ্য ছড়ানো প্রতিরোধেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে র্যাব সাইবার মনিটরিং টিম অনলাইনে সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রাখছে বলেও জানান তিনি।
শহিদুর রহমান বলেন, মার্কেট ও বাজারগুলোতে আসা নারীদের উত্ত্যক্ত ও ইভটিজিং রোধে মোবাইল কোর্টসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ কোনো ধরনের হেনস্তার শিকার হলে অবশ্যই কর্তব্যরত র্যাবকে জানাবেন। র্যাব জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। বিভিন্ন প্রতারণা ও চাঁদাবাজি রোধে অন্য বাহিনীগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।