
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণ, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠনসহ মোট ৯ দাবিতে ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে পদযাত্রায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ফলে আন্দোলনকারীদের হামলায় আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
এ ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রা সংক্রান্ত প্রকাশিত ছবি সম্পর্কে বক্তব্য জানিয়েছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স।
বুধবার (১২মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই বক্তব্য জানান বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার (১২ মার্চ) বিভিন্ন সংবাদপত্রে ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রায় পুলিশের বাধা সংক্রান্ত প্রকাশিত ছবির প্রতি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মনোযোগ আকৃষ্ট হয়েছে। এ সম্পর্কে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের বক্তব্য নিম্নরূপ-
গতকাল মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকালে ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ নামের প্ল্যাটফর্মের প্রায় ৬০/৭০ জনের একটি দল মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে পদযাত্রার চেষ্টা করে। পুলিশ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তাজনিত কারণে পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে বাধা দেয়। এসময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ পবিত্র রমজানে ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘ্ন যাতায়াত ও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে বিক্ষোভকারীদের নিবৃত হওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ জানায়। কিন্ত তারা পুলিশের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে কর্তব্যরত পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। তাদের অতর্কিত হামলায় ডিএমপির রমনা জোনের সহকারী কমিশনার গুরুতর আহত হন। এছাড়া হামলাকারীদের আঘাতে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারসহ পাঁচ (০৫) জন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।
ঘটনার ভিডিও চিত্র দেখলে পরিষ্কার হয় যে, উত্তেজিত মিছিলকারীরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করার পর পুলিশ তাদের প্রতিহত করে। কিন্তু প্রকাশিত ছবিতে এ সত্যটি আড়াল করা হয়েছে (ভিডিও চিত্র সংযুক্ত)।
প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে এরূপ খন্ডিত সংবাদ ও ছবি প্রকাশ কোনভাবেই প্রত্যাশিত নয়। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করে।