
সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঠুনকো অজুহাতে যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করা হয়েছে। এর আগে দখল করা হয় প্রতিষ্ঠানটির তেজগাঁও কার্যালয়। এসব ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বর্তমান মালিকপক্ষ ও সাংবাদিকরা, কর্মচারী ও কর্মকর্তারা।
বুধবার (১২ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে, পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কাজী রুকুনউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, শফিক রেহমানের ঠুনকো অজুহাতে যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করা হয়।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে কাজী রুকুনউদ্দীন আহমেদ বলেন, প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমানকে সামনে রেখে অবৈধভাবে প্রধান কার্যালয় ও ছাপাখানা দখল করেছে একটি কু-চক্রী মহল। তারা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বর্তমান মালিক সাঈদ হোসেন চৌধুরীর কাছ থেকে যায়যায়দিন ছিনিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আমরা বর্ষীয়ান এই সাংবাদিকের সম্মানের কথা ভেবে নীরবে বিষয়টি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কু-চক্রী মহলটি আইন-আদালতসহ সর্বত্র প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে এবং সত্যকে মিথ্যা, মিথ্যাকে সত্য বলে চালিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন,’ আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাব, একটি মিডিয়া হাউজ কোন শক্তির জোরে দখল করা হয়েছে তা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখতে।’
দখলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ দুঃখজনক হলো, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলস্থ যায়যায়দিন কার্যালয় ও প্রেস বেদখল হওয়ার পর আমরা বিধি মোতাবেক ডিসি অফিসকে অবহিত করে অন্য প্রেস থেকে পত্রিকা ছাপানোর ব্যবস্থা করি। পরপর দুটি প্রেস পরিবর্তনের বিষয়টিও যথারীতি ডিসি অফিসকে জানানো হয়। কিন্তু ডিসি অফিস শফিক রেহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঠুনকো অজুহাতে যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করে।
এর আগে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় আমাদের জানায়, লাভ রোডে অবস্থিত ছাপাখানা ও যায়যায়দিন পত্রিকার প্রধান কার্যালয় আইনগতভাবে শফিক রেহমানের। কিন্তু আইনগত কোন প্রক্রিয়ায় তিনি এসব প্রাপ্ত হয়েছেন তার কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। এ ঘটনার পর সাঈদ হোসেন চৌধুরী হাইকোর্টে রিট দাখিল করেছেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে আদালত যায়যায়দিন পত্রিকার সবকিছুই সাঈদ হোসেন চৌধুরীর পক্ষে থাকবে বলে তিন মাসের ‘স্থিতাবস্থা’ দিয়েছেন। তারপরেও সবকিছু দখল হয়ে গেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্য সব উপদেষ্টারা বারবার গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলছেন, কোনো অজুহাতে একটি গণমাধ্যমও যেন বন্ধ না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক করছেন। সেখানে যায়যায়দিন আইনগতভাবে নিয়মিত প্রকাশিত হওয়ার পরও কোন শক্তির ইশারায় এর ডিক্লারেশন বাতিল করা হলো তা আমাদের বোধগম্য নয়। তাহলে কি আমরা ধরে নিতে পারি সরকারের ওপর সরকার রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর, পাঠক নন্দিত দৈনিক যায়যায়দিন বেদখলে একটি চক্র মরিয়া হয়ে উঠেছে। এরই নীল নকশা হিসাবে এ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি সাঈদ হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে একটি ভুয়া-বানোয়াট মামলা দায়ের করা হয়েছে। যায়যায়দিন বেদখলের পাঁয়তারাকারী চক্র ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তারের জন্য কয়েক দফা অপতৎপরতাও চালিয়েছে। প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমানকে সামনে রেখে ওই চক্র সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দিয়ে ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের ৪৪৬/ই+এফ+জি হোল্ডিংয়ে অবস্থিত দৈনিক যায়যায়দিনের প্রধান কার্যালয় দখল করে রেখেছে। সেখান থেকে তারা অবৈধভাবে দৈনিক যায়যায়দিনের মূল লোগোর সঙ্গে হুবহু মিল রেখে ‘দৈনিক যায়যায়দিন প্রতিদিন’ নামের একটি পত্রিকা প্রকাশ করছে। যা আইনগতভাবে তারা করতে পারেন না।
যায়যায়দিন পত্রিকাটির বেচাকেনার ঘটনা বর্ননা করে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০০৭ সালে চরম আর্থিক সংকটে পড়েন শফিক রেহমান। সেসময় যায়যায়দিন পত্রিকার সংবাদকর্মীদের বেতন পর্যন্ত দিতে পারেননি। এছাড়া কোটি কোটি টাকার ব্যাংক ঋণও পরিশোধ করতে না পারায় বেকায়দায় পড়েন তিনি। আর্থিক দৈন্যদশা চরমে পৌছালে পাওনাদারদের হাত থেকে বাঁচতে বিদেশে পালানোর চেষ্টা করেন শফিক রেহমান। খবর পেয়ে পাওনাদার সাংবাদিকরা তাকে বিমানবন্দর থেকে ধরে আনেন। ওই সময় পূর্ব পরিচয় ও ঘণিষ্টতার সূত্র ধরে এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরীকে যায়যায়দিন পাবলিকেসন্স-এর শেয়ার কিনে নিয়ে তাকে সহয়তা করার আনুরোধ জানান।
প্রবীণ এই সাংবাদিকের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক শেষে সাঈদ হোসেন চৌধুরী তা কিনে নিতে সম্মত হন। সাঈদ হোসেন চৌধুরী শফিক রেহমানের চাহিদা অনুযায়ী সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করেন। বিনিময়ে ২৩/০৩/২০০৭ইং তারিখে ফরম-১১৭ এর মাধ্যমে জনাব শফিক রেহমান, তার স্ত্রী জনাবা তালেয়া রহমান এবং ছেলে সুমিত রহমান তাদের যায়যায়দিন পাবলিকেসন্সের সব শেয়ার জনাব সাঈদ হোসেন চৌধুরী (নমিনি এইচআরসি মিডিয়া লিমিটেড) ও আবুল হাসান মো. আল ফারুক (নমিনি এইচআরসি মিডিয়া লিমিটেড) বরবার হস্তান্তর করেন। (কপি সংযুক্ত-১) এবং ২৫/০৩/২০০৭ইং তারিখে জনাব শফিক রেহমান ও জনাবা তালেয়া রেহমান ফরম-১১৭ এর মাধ্যমে তাঁদের যায়যায়দিন প্রিন্টার্সের শেয়ার এইচআরসি মিডিয়া লিমিটেড এবং এইচআরসি বাংলাদেশ লিমিটেডের নামে হস্তান্তর করেন।
শেয়ার হস্তান্তরসহ সকল প্রক্রিয়া শেষে জনাব শফিক রেহমান ২০০৭ সালের ১৭ জুলাই অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত, ঢাকার সম্মুখে উপস্থিত হয়ে ১৯৭৩ সনের ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ডিক্লারেশন ও রেজিষ্ট্রেশন) আইনের ১৬ ধারা মোতাবেক ৪৪৬ ই+এফ+জি, লাভ রোড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে প্রকাশিত বাংলা দৈনিক ‘যায়যায়দিন’ নামক পত্রিকার প্রকাশকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। (কপি সংযুক্ত- ৩)
পরবর্তীতে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া পেরিয়ে ২০০৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত, ঢাকার সম্মুখে উপস্থিত হয়ে আবুল হাসান মো. আল-ফারুক, পিতা- প্রফেসর মো. আবু তালিব যায়যায়দিনের প্রকাশকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ফরম- ‘বি’ পত্রিকা প্রকাশকের ঘোষণাপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমি বাংলা দৈনিক ‘যায়যায়দিন’ নামক পত্রিকার প্রকাশক। যাহা ৪৪৬ ই+এফ+জি, লাভ রোড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা ঢাকা-১২০৮ হইতে প্রকাশিত এবং ৪৪৬ ই+এফ+জি, লাভ রোড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা ঢাকা-১২০৮ ঠিকানায় অবস্থিত ‘যায়যায়দিন প্রিন্টার্স লিমিটেড’ হইতে মুদ্রিত হইবে।
পরবর্তীতে আবুল হাসান মো. আল-ফারুক ২০১১ সালের ৯ জুন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত, ঢাকার সম্মুখে উপস্থিত হয়ে ‘ফরম-সি পত্রিকা প্রকাশকের পদত্যাগের ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে প্রকাশকের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।
আবুল হাসান মো. আল-ফারুক প্রকাশকের পদ থেকে পদত্যাগ করার পর প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদ হোসেন চৌধুরী, পিতা- হেদায়েত হোসেন চৌধুরী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত, ঢাকার সম্মুখে যায়যায়দিনের প্রকাশক ও মুদ্রাকরের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ফরম- ‘বি’ পত্রিকা প্রকাশক ও মুদ্রাকরের ঘোষণাপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমি বাংলা দৈনিক ‘যায়যায়দিন’ নামক পত্রিকার প্রকাশক ও মুদ্রাকর। যাহা এইচআরসি মিডিয়া ভবন ৪৪৬ ই+এফ+জি, লাভ রোড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা ঢাকা-১২০৮ হইতে প্রকাশিত এবং ৪৪৬ ই+এফ+জি, লাভ রোড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা ঢাকা-১২০৮ ঠিকানায় অবস্থিত ‘যায়যায়দিন প্রিন্টার্স লিমিটেড’ হইতে মুদ্রিত হইবে।
এর আগে গত ১৪/০৬/২০১১ইং তারিখে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত, ঢাকার সম্মুখে ‘ফরম-এ’ ১৯৭৩ সনের ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ডিক্লারেশন ও রেজিষ্ট্রেশন) আইনের ৪(২) মোতাবেক ছাপাখানার ঘোষণাপত্রে জনাব সাঈদ হোসেন চৌধুরী সত্য ভাষণ দেন যে, আমি এইচআরসি মিডিয়া ভবন, ৪৪৬ ই+এফ+জি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, লাভ রোড, ঢাকা-১২০৮ ঠিকানায় অবস্থিত ‘যায়যায়দিন প্রিন্টার্স লিমিটেড’ নামক ছাপখানার রক্ষক ও মুদ্রাকর। যাহাতে নিম্নলিখিত মেশিনপত্র আছে।
উল্লেখিত সময় হইতে সাঈদ হোসেন চৌধুরী অদ্যবধি দৈনিক যায়যায়দিন নিষ্ঠার সঙ্গে প্রকাশক ও মুদ্রাকর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ফরম-বি এর ঘোষণা অনুযায়ী উল্লেখিত সময়ে তিনি বাংলাদেশ অথবা বাংলাদেশ সরকারের স্বার্থের পরিপন্থি বা কোনো আপত্তিকর বিষয় যায়যায়দিন পত্রিকায় মুদ্রণ বা প্রকাশ করেননি। এবং ১৯৭৩ সনের ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ডিক্লারেশন ও রেজিস্ট্রেশন) সমুদয় নিয়ামবলী মেনে চলছেন।
সাঈদ হোসেন চৌধুরীর নামে ‘যায়যায়দিন পাবলিকেশনস লিমিটেডের’ ই-ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের দেওয়া ওই ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ ৩০ জুন, ২০২৫ পর্যন্ত। ট্রেড লাইসেন্সে ব্যবসার প্রকৃতি- লিমিটেড কোম্পানি, ব্যবসার ধরণ- দৈনিক পত্রিকা প্রকাশনা, সকল প্রকার আমদানিকারক এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা- ৪৪৬ ই+এফ+জি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ উল্লেখ রয়েছে।
এই ট্রেড লাইসেন্সের উপর ‘যায়যায়দিন পাবলিকেশনস লিমিটেড’ নিয়মিত আয়কর প্রদান করে আসছে। ২০২৩-২৪ অর্থ বছর পর্যন্ত আয়কর পরিশোধ করা হয়েছে। (কপি সংযুক্ত-৯) একই সঙ্গে ‘যায়যায়দিন পাবলিকেশনস লিমিটেডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভূমি উন্নয়ন কর নিয়মিত পরিশোধ করে আসছে। সর্বশেষ ১৪৩১ (বাংলা)/ ২০২৫ (ইংরেজি) সাল পর্যন্ত কর পরিশোধ করা হয়েছে।
এছাড়া জাতীয় অনলাইন নীতিমালা-২০১৭ (সংশোধিত, ২০২০) অনুযায়ী অনলাইন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তথ্য অধিদপ্তর কর্তৃক সাঈদ হোসেন চৌধুরীর নামে নিবন্ধন প্রদান করা হয়। যার হালনাগদ নবায়ন রয়েছে।
ঘটনার বর্ননায় যায়যায়দিনের কর্মকর্তারা জানান , শফিক রেহমান ২০০৭ সালের ১৭ জুলাই দৈনিক ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার প্রকাশকের দায়িত্বভার থেকে পদত্যাগ করলেও ২০০৮ সালের ৬ মে পর্যন্ত বেতনভুক্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের ৫ মে তিনি স্বেচ্ছায় সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি তার লিখিত পদত্যাগপত্রে বলেন, ৬ মে ২০০৮ইং তারিখ দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে তার নাম থাকবে। তবে ৭ মে ২০০৮ইং তারিখ থেকে তার নাম এর পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে থাকবে না।
এ সংক্রান্ত খবর ৬ মে ২০০৮ইং তারিখের যায়যায়দিন পত্রিকার টপ লিডে ‘সম্পাদকের পদ ছেড়ে দিয়েছেন শফিক রেহমান’ এই শিরোনামে প্রকাশিত হয়।
এছাড়াও ২০০৮ সালের ৬ মে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতায় ‘যায়যায়দিন ও পাঠকের সঙ্গে ২৯ বছরের সম্পর্ক’ শিরোনামে শফিক রেহমানের নিজের স্মৃতিচারণকমূলক একটি লেখা প্রকাশিত হয়। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘প্রিয় পাঠক, গতকাল ৫ মে ২০০৮- এ আমি দৈনিক যায়যায়দিনের সম্পাদকের পদটি ছেড়ে দিয়েছি। এরই সঙ্গে ছিন্ন হয়েছে যায়যায়দিন-এর সঙ্গে আমার সুদীর্ঘ ২৯ বছরের সম্পর্ক।’
শফিক রেহমান পদত্যাগ করার পর শহীদুল হক খান দৈনিক যায়যায়দিনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে শহীদুল হক খান এ পদ থেকে পদত্যাগ করলে জনাব বরুণ শংকর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।