
মোঃ রিফাতুন্নবী রিফাত,গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলামকে নাটোরের সিংড়া এলাকায় আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তার সঙ্গে থাকা প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালিয়ে ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত ২টার দিকে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের চলনবিল গেট এলাকায় পুলিশের নিয়মিত চেকপোস্টে তল্লাশির সময় তাকে আটক করা হয়।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে সিংড়া থানার ওসি আসমাউল হক জানান, বৃহস্পতিবার রাতে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের চলনবিল গেট এলাকায় পুলিশের নিয়মিত চেকপোস্টে তল্লাশির সময় গাইবান্ধা থেকে রাজশাহীগামী একটি সাদা রঙয়ের প্রাইভেটকারকে থামার সিগন্যাল দেওয়া হয়। গাড়ির আরোহীর পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে গাইবান্ধার এলজিইডির নিবার্হী প্রকৌশলী বলে পরিচয় দেন। এতে সন্দেহ হলে প্রাইভেটকার, টাকাসহ আরোহী ছাবিউল ও চালককে আটক রেখে বিষয়টি পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়।
পরে উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়িতে থাকা ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা পান। পরে টাকা ও প্রাইভেটকারটি জব্দ করে প্রকৌশলী পরিচয় দেওয়া ছাবিউলকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়।
ওসি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম দাবি করেন, জমি বিক্রির বৈধ টাকা নিয়ে গাইবান্ধা থেকে রাজশাহী যাচ্ছিলেন তিনি। আমরা বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখছি।
প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে গাইবান্ধায় এলজিইডির নিবার্হী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। তার আদি বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায় বলে জানা গেছে।
ছাবিউল ইসলাম দীর্ঘ ২১ বছর ধরে গাইবান্ধায় কর্মরত। প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার পালক ছেলে হিসেবেই তিনি আওয়ামী লীগের সবার কাছে পরিচিত। এ কারণে একক প্রভাব ও ঠিকাদারদের জিম্মি করাসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি।