নড়াইলে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

শরিফুল ইসলাম নড়াইল: নড়াইলে হামিদা বেগম হত্যা মামলায় তার স্বামী ইব্রাহিম মোল্যাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। তবে রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শাহিনুর রহমান এ আদেশ দেন। ইব্রাহিম মোল্যা মাগুরা জেলার মাগুরা গ্রামের আবদুল জব্বার মোল্যার ছেলে।

নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট কাজী জিয়াউর রহমান জিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে,নড়াই সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের হামিদা বেগমের সঙ্গে মাগুরা জেলার মাগুরা গ্রামের ইব্রাহিম মোল্যার বিবাহ হয়। সংসার জীবনে তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে ছিল। এর মধ্যে ইব্রাহিম মোল্যা লোহাগড়া উপজেলার ইতনা গ্রামে কুলসুম নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। এরপর থেকে হামিদা বেগমকে হত্যার পরিকল্পনা করে। হামিদার বাবার বাড়ির লোকজন তার বড় ছেলেকে বিদেশে পাঠায়। তার ছেলে তার নামে টাকা পাঠালে ইব্রাহীম সেই টাকার জন্য হামিদাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। এরপর ২০০৯ সালের ৮ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশে হামিদা বেগম গরু বাধতে গেলে ইব্রাহিম মোল্যা তাকে হত্যার পর মরদেহ গুম করে। অনেক খোজাখুজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে ১০ জুলাই সকালে ইব্রাহিম এর ছোট বউ কুলসুম বেগম বাড়ির পাশে কাজলা নদীতে দেশীয় অস্ত্রবিদ্ধ অবস্থায় হামিদার মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। ওইদিন নিহতের ভাই রেজাউল নড়াইল সদর থানায় বাদী হয়ে ইব্রাহিমসহ ৬ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ বিচারক প্রক্রিয়ায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার রায়ের ধার্য দিনে আদালত ইব্রাহিম মোল্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণ হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও জরিমানা করেন। বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন আদালত।

আরও পড়ুন...