শাহআলীতে পূর্বশক্রতার জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার ৭

রাজধানীর শাহআলীতে পূর্বশক্রতার জের ধরে মারামারির ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবি মিরপুর বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। রাতে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- শান্ত ইসলাম (২২), সিজয় আহমেদ ওরফে রমজান আলি(২৫), মো. আলম (৩৮), রবিউল ইসলাম রুবেল ওরফে ডুক্কু রুবেল (৩০), মো. ইয়াকুব আলী (৩০), মো. আমিনুল ইসলাম (৩০) ও মো. সোহেল (৩১)।

ডিবি মিরপুর বিভাগের বরাত দিয়ে তালেবুর রহমান বলেন, মামলার বাদী মো. জহিরুল ইসলাম শাহআলী থানা যুবদলের সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। গত ১৪ এপ্রিল যুবদল কর্মী রাব্বি খান সঙ্গীয় লোকজনসহ ছাত্রজনতা হত্যায় অভিযুক্ত যুবলীগের ৯৩ নং ওয়ার্ডের ইউনিট সভাপতি শরিফকে আটক করে। বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানালে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে পৌঁছার আগে আসামি রফিকুল ইসলাম বগা বাবু তার অনুসারীদের নিয়ে শরিফকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এই নিয়ে রফিকুল ইসলামের সাথে বাদীর কথা কাটাকাটি হয়। এরই সূত্র ধরে গত ১৫ এপ্রিল রাত আনুমানিক ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে শাহআলী থানাধীন ঈদগাহ মাঠে সংলগ্ন ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজের অফিসে এসে গ্রেফতারকৃরাসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা বাদী মো.জহিরুল ইসলামকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু অফিসের লোকজন বাধাঁ দেয়ায় তাকে নিতে পারেনি। পরে গ্রেফতারকৃত আসামিরাসহ অজ্ঞাতানামা ১৫-২০ জন দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোটা, চাপাতি, রামদা, আগ্নেয়াস্ত্র সহ বেআইনী জনতাবদ্ধে অতর্কিতভাবে অফিসের সামনে পাকা রাস্তার তাদের ওপর হামলা করে। আসামি রবিউল ইসলাম রুবেল বাদীকে এলোপাথারী কিল-ঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা-ফুলা জখম করে। আসামি রফিকুল ইসলাম মনির হোসেনকে হত্যার উদ্দেশে কোপ মেরে বাম হাতের কনুইতে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। আসামি ইয়াকুব হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে বিল্লাল হোসেনকে বাম কানের পিছনে এবং বাম হাতের বাহুতে কোপ দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। আসামি রবিউল ইসলাম রুবেল হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে আক্তারকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা বিভিন্ন প্রকার ভীতি প্রদর্শন করে এবং আসামি ইয়াকুব তাদের দিকে ককটেল ছুড়ে স্থান ত্যাগ করে। হামলার এ ঘটনায় বাদী মো. জহিরুল ইসলামের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শাহআলী থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়।

তিনি বলেন, মামলাটি রুজুর পর ডিবির একটি চৌকস টিম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আজ রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা পূর্বশক্রতার জের ধরে মারামারির ঘটনায় জড়িয়েছে জানিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

অভিযানের নেতৃত্বে ডিবি মিরপুর বিভাগের পল্লবী জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) সোনাহর আলী।

আরও পড়ুন...