পিবিএ, খেলাধুলা : বড় কোন চমক থাকছেনা বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। আপাতত যারা দলে খেলছে কিংবা জাতীয় দলের আশাপাশে আছে তারাই বিশ্বকাপ অভিযানে বিবেচনায় থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, টাইগার পেসারদের মন্থর গতি এবং একজন লেগস্পিনার না থাকা নিয়ে আফসোসও ঝড়েছে তার কন্ঠে।
দেশজুড়ে নানা আলোচনা, সমালোচনা। পাড়ায় মহল্লায় চায়ের কাপে কাপে উঠছে প্রচন্ড ঝড়। অফিস-আদালত থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দেয়াল কিংবা পত্রিকার পৃষ্ঠা অথবা টেলিভিশনের পর্দা সবজায়গাতেই এখন একটাই আলোচনা, বাংলাদেশের কোন ১৫ জন ধরবেন ইংল্যান্ডের বিমান। কারা হবেন, লাল সবুজের স্বপ্ন সারথি।
অনেকগুলো নাম নিয়েই জল্পনা কল্পনা করছিলো সমর্থকরা। সেরা ১৫ জন বাছাইয়ের কঠিনতম কাজটি করতে ইতোমধ্যে কাজও শুরু করে দিয়েছেন নির্বাচকরা। তবে, সবাইকে চমকে দিয়েই বিশ্বকাপ স্কোয়াডের মোটামুটি একটা ছায়া দাঁড় করিয়ে দিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
তিনি বলেন, ‘তামিম আর লিটন যদি ওপেন করে। তিন নম্বরে সাকিব খেলতে চায়। চারে মুসফিক পাঁচে মিথুন ছয়ে রিয়াদ সাতে তখন সৌম্য আসতে পারে। এছাড়া আমার কাছে আছে সাব্বির সাইফুদ্দিন আছে। তিনটা পেসার তো খেলাবেই। এর মধ্যে মুস্তাফিজ ও মাশরাফি ও কনফার্ম। আর রুবেল আছে তাসকিন আছে। এখন একটা স্পিনার খেলাতে হলে মিরাজকে নিতে হয়।’
পাশাপাশি পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন চমক নয়, অভিজ্ঞতাকেই অগ্রাধিকার দেয়া হবে। পাপন বলেন, ‘একেবারে বাইরে থেকে বিশ্বকাপে খেলবে এমন নয়। বিজয় তিনটা সেঞ্চুরি করেছে ফরহাদ ভাল করেছে শান্ত ও মোসাদ্দেকও ভাল খেলছে আসলে এই বিষয়গুলো আমরা চাই’
তবে, নিজের দেয়া এই স্কোয়াড নিয়ে নিজেই একটু হতাশ নাজমুল হাসান পাপন। কারণ, পেসারদের গতি আর একজন লেগ স্পিনারের শূণ্যতা পূরণের মতো কাউকেই যে এখনো পায়নি বাংলাদেশ। পাপন বলেন, ‘পেসারদের একটু স্পিড দরকার। আর প্রধান সমস্যা আমাদের লেগ স্পিনার নাই।’
দিন শেষে স্কোয়াড বা একাদশ যাই হোক না কেন, মাশরাফীর অধীনে বিশ্ব আসরে নিজেদের সেরা পারফরম্যান্সকেও ছাড়িয়ে যাবে টাইগাররা এটাই প্রত্যাশা কোটি সমর্থকের।
পিবিএ/এমএস