পাবনায় মিশু হত্যা মামলায় স্কুলছাত্রের ১৩ বছরের আটকাদেশ

পিবিএ,পাবনা: পাবনা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোঃ হাবিবুল্লাহ হাসান মিশু হত্যা মামলায় সহপাঠী ফয়সাল জামান শুভকে ১৩ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার অপর আসামী শামসুজ্জামান সিয়ামকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

বুধবার বিকেলে পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ রোস্তম আলীর আদালত এই রায় দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মোঃ শাহজাহান খান আদালতের বরাত দিয়ে জানান, স্কুল শিক্ষার্থী মিশু হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামীদের মধ্যে ফয়সাল ও সিয়াম অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের মামলা শিশু আদালতে বিচার করা হয়। অভিযুক্ত অপর আসামী আব্দুল হাদি ও সান প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় নিয়মিত আদালতে তাদের মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

তিনি আরো জানান, মিশু হত্যা মামলায় অভিযুক্ত মোঃ ফয়সাল জামান শুভর অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত তাকে দশ বছরের আটকাদেশ ও দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা ও অন্য একটি ধারায় আরো তিন বছরের আটকাদেশ ও এক লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো নয় মাসের আটকাদেশ প্রদান করেন।
যশোর কিশোর অপরাধ সংশোধনাগারে এই আটকাদেশ কার্যকর করা হবে। মামলার অপর আসামী মোঃ শামসুজ্জামান সিয়ামের অপরাধ প্রমান না হওয়ায় আদালত তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। তবে, মামলার রায়ে বাদী মোঃ মহসিন আলম সন্তুষ্ট না হওয়ায় উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ তার সহপাঠী শুভ বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে মিশুকে বাড়ি থেকে ডেকে শহরের সিংগা এলাকার খানের লিচু বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে যোগ দেয় মো: আবদুল হাদি ও সান। তারা মিশুর বাবার কাছে মোবাইলে মুক্তিপণ হিসেবে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে এবং ঘণ্টাখানেকের মধ্যে চাঁদা পরিশোধের নির্দেশ দেয়। চাঁদা না পেয়ে তারা মিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ বস্তাবন্দি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মিশুর বাবা মোঃ মহসিন আলম সালাম বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ তিন বছর শুনানী শেষে আদালত বুধবার রায় ঘোষণা করেন। মিশু হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এডভোকেট মো শাহজাহান খান ও এডভোকেট সালমা খাতুন। আসামী পক্ষে এডভোকেট আব্দুল মতিন মিয়া মামলা পরিচালনা করেন।

পিবিএ/এসএ/হক

আরও পড়ুন...