সমস্যা হলে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠাব না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পিবিএ, ঢাকা: আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গা পাঠানোর সরকারি সিদ্ধান্ত থাকলেও তা বাস্তবায়ন বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের কবে পাঠানো যাবে জানি না।

বুধবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “আমরা চিন্তা করেছিলাম এপ্রিলে পাঠাব। কিন্তু এখন তারা (জাতিসংঘসহ অন্যান্য সংস্থা) শর্ত দিলে সমস্যা তৈরি হবে এবং আমরা কবে পাঠাব জানি না।”

তিনি বলেন, “আমরা রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত আছি। সেখানে প্রয়োজনীয় বাড়িঘর তৈরি করা আছে। কিন্তু বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বলছে সেখানে গেলে তাদের অসুবিধা হবে। যদি সবাই মনে করে যে অসুবিধা হবে তবে আমরা রোহিঙ্গাদের পাঠাব না। সবাই যদি বলে স্বেচ্ছায় যান তবে আমরা ঘরবাড়ি তৈরি করে রেখেছি।”

উল্লেখ্য, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন শিবিরে এখন প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।

কক্সবাজারের শিবির থেকে রোহিঙ্গাদের একটি অংশ নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে স্থানান্তর নিয়ে প্রায় এক বছর ধরে আপত্তি জানিয়ে এলেও সরকারের এ উদ্যোগকে এখন স্বাগত জানাচ্ছে জাতিসংঘ। তবে জাতিসংঘ বলছে, ভাসানচরে স্থানান্তরের কাজটি যেন রোহিঙ্গাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে না হয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) সুরক্ষাবিষয়ক সহকারী হাইকমিশনার ভলকার টার্ক বলেছিলেন, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর নিয়ে আপত্তি নেই জাতিসংঘের।

এদিকে, ঢাকায় জাতিসংঘের তথ্যকেন্দ্র সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেওয়ায় কক্সবাজারের শিবিরগুলোতে বাড়তি লোকজনের চাপ কমবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় জাতিসংঘ।

এ অবস্থায় জাতিসংঘের সহযোগিতা নিয়েই রোহিঙ্গাদের একাংশকে ভাসানচরে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ সরকার

পিবিএ/এমএসএম

আরও পড়ুন...