মাশরাফির প্রিয় ১০

পিবিএ, খেলাধুলা : অকুতোভয় সৈনিক, লড়াকু যোদ্ধা, হার না মানা সেনাপতি, সফল দলনায়ক, মহান বীর-হাজারো বিশেষণ দিয়েও তাকে যথার্থভাবে বোঝানো যাবে না! তিনি মাশরাফি বিন মুর্তজা। যিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আসীন করেছেন অনন্য উচ্চতায়। টাইগার ক্রিকেট আজকের অবস্থানে আসার নেপথ্য নায়ক।

mashrafi

ক্রিকেট এদেশের মানুষের জানের খেলা, প্রাণের খেলা। তাই সবার কাছে প্রিয় মাশরাফি। ফলে তার প্রিয় বিষয়গুলো জানতে কোটি ক্রিকেটপ্রেমীর কৌতুহলের অন্ত নেই। তাদের চাহিদা নিবৃত্ত করতেই আমাদের এ আয়োজন। আসুন জেনে নেই প্রিয় ম্যাশের প্রিয় ১০টি বিষয়।

খাবার: মায়ের হাতের খিচুড়ি-গরুর মাংস, আর প্রতিদিনের জন্য ডাল-ভাত-আলু ভর্তা, ডিম ভাজা।

পোশাক: মাঠের বাইরে টি-শার্ট জিন্সেই স্বচ্ছন্দ। আর স্পেশাল প্রোগ্রামে পাঞ্জাবি পরতেও পছন্দ করেন।

ফোন: ফোনের ক্ষেত্রে স্যামসাং ও আইফোনই তার পছন্দের ব্র্যান্ড। খুব সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তবে হাতের ফোনটির বিষয়ে বেশ চুজি। পছন্দের ব্র্যান্ডের লেটেস্ট ফোনটিই তার হাতে দেখা যায়।

ঘোরার জায়গা: প্রথম ও প্রথম পছন্দ সেই নড়াইলের চিত্রাপার। যেই নদীর তীরে বেড়ে উঠেছেন। শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত নিজের জেলাই সবচেয়ে পছন্দ। এর পরে রয়েছে পাহাড়-বরফ ঘেরা কাশ্মির।

সানগ্লাস, ক্যাপ: শপিং মানেই কমন আইটেম সানগ্লাস আর ক্যাপ।

প্রিয় খেলা: নিজে ক্রিকেট খেললেও ফুটবলের পাঁড় ভক্ত। প্রিয় খেলোয়াড় ম্যারাডোনা। স্বাভাবিকভাবেই প্রিয় দুইবারের বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা।

প্রিয় গায়ক: পপতারকা বা রক সঙ্গীতশিল্পী জেমস। অবসর বা ঘরোয়া পার্টিতে বন্ধুমহলে এ গুণী শিল্পীর গানই সঙ্গী তার। ব্যান্ড ভীষণ পছন্দ করেন।

প্রিয় ব্যক্তি: প্রিয় ব্যক্তির তালিকা অনেক লম্বা। প্রথম নাহিদ মামা। যার সঙ্গে খুনসুটি করে বেড়ে উঠেছেন। কৈশোরের খেলার সাথী, প্রথম বাইক চালানো-সবই শুরুর সঙ্গী এ মামা। এরপর নানী। ছোটবেলায় তার আদরেই মানুষ হয়েছেন। বাবা-মা, প্রিয়তমা স্ত্রী আর আদরের দুই সন্তান হুমায়রা মুর্তজা ও সাহেল মুর্তজা আছেন। লিস্ট কিন্তু আরও লম্বা.. যেখানে রয়েছেন বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ।

অবসরে: অবসরে আড্ডা দিতে পছন্দ করেন। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে চুটিয়ে আড্ডা দেন। মজা, মাস্তি, খুনসুটি করে সময় কাটান।

প্রিয় ম্যাচ: ২০০১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে। বৃষ্টি বাগড়ায় ম্যাচটি অমীমাংসিত থাকে। তবে অভিষেকেই জাত চেনান। ১০৬ রানে শিকার করেন ৪ উইকেট। তখনকার মাঠ কাঁপানো গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার ছিলেন প্রথম শিকার।

পিবিএ/এমএস

আরও পড়ুন...