পিবিএ ডেস্ক: রাজধানীর অভিজাত এলাকা বলে খ্যাত বনানীর একটি বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ৭ ঘন্টা সময় লাগে।দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে বহুতল ওই ভবনের নয় তলায় আগুন লাগে এবং নিয়ন্ত্রণে আসতে প্রায় রাত আটটা বেজে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২৩টি ইউনিটের পাশাপাশি সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর উদ্ধারকর্মীরা কাজ করে। এছাড়া তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সেখানকার স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও।
তারপরও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এত দীর্ঘ সময় লাগার কারণ কী – তা নিয়ে প্রশ্ন করছেন অনেকে।
এ বিষয়ে দমকল বাহিনীর ঢাকা বিভাগের কর্মকর্তা দেবাশীষ বর্ধন জানিয়েছেন, মূলত দুইটি কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দেরি হয়েছে।সেগুলো হলো- এক. পানির অভাব এবং ২. সিনথেটিক ফাইবারের কারণে অত্যাধিক ধোয়ার সৃষ্টি।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য প্রচুর পানি দরকার হয়। এক সময় পানির যোগান এবং তা যথাস্থানে দ্রুত সময়ে পৌঁছানো একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু পর্যাপ্ত পানির অভাবে আগুন নেভাতে দেরি হয়।
এছাড়া ঐ ভবনের বেশিরভাগ তলায় রয়েছে বিভিন্ন অফিস, যেগুলো ডেকোরেট বা সজ্জার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে সিনথেটিক ফাইবার।
এই সিনথেটিক ফাইবারে আগুন ধরে গিয়ে প্রচুর ধোঁয়া হয়েছে।আর এই ধোঁয়ার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় বেশি লেগেছে।
পুরান ঢাকার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ক্ষত না শুকাতেই ঘটলো।সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ ২০ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া আহত হয়েছে আরো ৭০ জন। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
আহত অবস্থায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ইউনাইটেড হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বহু মানুষ।
দমকল বাহিনীর মি. বর্ধন বলেছেন, এফ আর ভবন থেকে শতাধিক লোককে বের করে আনা হয়েছে।
তবে ভেতরে ঠিক কত লোক ছিলেন সেটি তিনি বলতে পারেননি।
পিবিএ/এএইচ