স্বামী-স্ত্রীর প্রেমের ফলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে

পিবিএ, ডেস্ক: প্রেমে পড়া মানেই যে মন ভাল থাকবে তা নয় কিন্তু প্রেমে পড়ার পরে যখন আস্তে আস্তে একটা স্টেডি সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায় তখনই ভাল থাকাটা শুরু। আর এই প্রেম শুধু ছেলে বা মেয়ে বন্ধুর সাথে না হলেও চলবে। এটা বেশি গুরুত্ব পায় স্বামী-স্ত্রীর প্রেমে। একথা নতুন করে আর বলার নেই যে মন ভাল থাকা মানেই জীবনযাপনের উন্নতি। প্রেমের সম্পর্কে ভাল থাকলে জীবনের সব কিছুই ভাল লাগতে শুরু করে। যিনি অতটা সাজগোজ করতেন না, তিনি মাঝেমধ্যেই একটু সেজে ফেলেন। যে খাবার মুখে রুচি আসতো না, সেই খাবারও প্রেমের ছোঁওয়ায় সহনশীল লাগে। অর্থাৎ কলেজ-পড়ুয়া ছেলেমেয়েকে হেল্থ ফুড খাওয়াতে চাইলে, মায়েদের পক্ষে এই সময়টাই আদর্শ।

ওদিকে প্রেম করা মানেই মাঝেমধ্যে দু’জনে একসঙ্গে ভালমন্দ খাওয়া। তাই ওজনের আর দোষ কী! দেখা গেছে এই ব্যাপারে এগিয়ে রয়েছেন নারীরা। ২০১২ সালে প্রকাশিত নর্থ আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অফ ওবেসিটি-র একটি গবেষণায় ৮০০০ হাজার মানুষকে সমীক্ষা করা হয়। সেই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল যে বিয়ের প্রথম পাঁচ বছরে, একজন বিবাহিত নারীর ওজন গড়ে প্রতি বছরে ২৪ পাউন্ড বাড়ে।

একদিকে যেমন মন ভাল থাকে বলে খাওয়া দাওয়া-সহ সম্পূর্ণ জীবনযাপনেরই উন্নতি হয়, পাশাপাশি আবার একটি স্থায়ী সম্পর্কে থাকাকালীন অনেকেই আর আগের মতো ফিগার-সচেতন থাকেন না। সিঙ্গল পুরুষ বা নারীর মধ্যে ওজন ও চেহারা সংক্রান্ত সচেতনতা অনেক বেশি কারণ সম্ভাব্য পার্টনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সুঠাম চেহারা একটি ফ্যাক্টর। সম্পর্ক স্থায়ী হলে তখন আর এই বিষয়গুলো নিয়ে মানুষ অতটা চিন্তা করেন না এবং ফাঁকতালে ওজন বেড়ে যায়।

তবে এই ওজন বৃদ্ধি যে শুধুমাত্র মেয়েদের ক্ষেত্রেই ঘটে তা নয়। সুখী বিবাহিত পুরুষের মধ্যেও ওজন বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। আর বিষয়টা খানিকটা ছোঁয়াচে রোগের মতো। অর্থাৎ দু’জনের একজনের মধ্যে যদি এই প্রবণতা শুরু হয় তবে অন্যজনের মধ্যেও সেই মনোভাব ছড়িয়ে পড়ে।

পিবিএ/এমটি/এএইচ

আরও পড়ুন...