ঘরে ঘরে চলছে শোকের ছায়া

পিবিএ,ঢাকা : রাজধানীর বনানীতে এফআর (ফারুক রূপায়ণ) টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। শোকে স্তব্ধ নিহতদের মা-বাবা ও অন্য স্বজনরা। সেই সঙ্গে পাড়া-প্রতিবেশী ও বন্ধুরাও শোকাহত। নিহতদের বাড়িতে মৃত্যুর সংবাদ পৌঁছার পর পরই নেমে আসে শোকের ছায়া। প্রিয়জন হারানোর বেদনায় স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে আশপাশের পুরো এলাকা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে বনানীর ২২ তলা এফআর টাওয়ারের অষ্টম তলায় আগুন লাগে। মুহূর্তেই ভবনের ওপর তলায় ছড়াতে শুরু করে আগুন। বাড়তে থাকে আগুনের ভয়াবহতাও। জীবন বাঁচাতে অনেকে লাফিয়ে পড়ে মারা যান, কারো কারো মৃত্যু হয় ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে।

এ ঘটনায় শ্রীলঙ্কার এক নাগরিকসহ ২৫ জনের মৃত্যু ও ৭৩ জন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

পুলিশের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী নিহতরা হলেন— আব্দুল্লাহ আল ফারুক, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাকসুদুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, মিজানুর রহমান, ফ্লোরিডা খানম পলি, আমেনা ইয়াসমিন, পারভেজ সাজ্জাদ, মনির হোসেন, সালাউদ্দিন মিঠু, রেজাউল করিম, আহমেদ জাফর, রুমকি আক্তার, মির্জা আতিকুর রহমান, ফজলে রাব্বি, আমির হোসেন রাব্বি, জেবুন্নেসা, তানজিলা মৌলি, নাহিদুল ইসলাম তুষার, আতাউর রহমান, আনজির আবির, জারিন তাসমিম বৃষ্টি, মঞ্জুর হাসান, আইয়ুব আলী ও শ্রীলঙ্কার নাগরিক নিরস ভি কে রাজা।

নিহতদের ২৪ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির গুলশান জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মুশতাক আহমেদ। গতকাল শুক্রবার সকালে বনানীতে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ২৫ জনের মরদেহ আমরা শনাক্ত করেছি, তার মধ্যে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ২৪ জনের মরদেহ তাদের স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমাদের লিস্টে ৭৩ জনের মতো আহত আছেন। এছাড়া কমবেশি আরো অনেকে আহত হয়েছিলেন। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। যারা মিসিং ছিলেন বলে আমাদের কাছে রিপোর্ট ছিল তাদের প্রায় সবারই মরদেহ পাওয়া গেছে।

বনানীর অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের ফ্লোরিডা খানম পলি। পলি উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের ইউসুফ উসমান মনুর স্ত্রী ও পৌর এলাকার মৃত আফজাল হোসেনের মেয়ে। তিনি স্ক্যানওয়েল লজিস্টিক লিমিটেডের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া সন্তান ফয়সাল ও স্বামী নিয়ে ঢাকার মিরপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছিলেন তিনি।

নিহতের ভাগ্নি ডা. ফাহিমা শামিম খুসবু জানান, খালার অফিস ভবনে আগুন লাগার পর দুপুর দেড়টা পর্যন্ত তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারেন। পলি সর্বশেষ কর্মস্থল ১১ তলা থেকে ১২ তলায় যেতে সক্ষম হন। পরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে খুসবু একটি এসএমএস খালার মোবাইল নম্বরে দিয়ে রাখেন। পরবর্তী সময়ে তার খালার মৃতদেহ সিএমএইচ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেই এসএমএস দেখে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে লাশ শনাক্ত শেষে নিয়ে যেতে বলেন। পরে তার খালু লাশ শনাক্ত করে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে রওনা হন।

পলির মৃত্যুতে তার গ্রামের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঢাকা থেকে পরিবারের সদস্যরা লাশ নিয়ে গতকাল শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে শিবগঞ্জে পৌঁছালে কান্নার রোল পড়ে যায়। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার জগন্নাথপুর জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

নিহতের স্বামী ইউসুফ উসমান মনু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা ঢাকাকে আর লাশের নগরী হিসেবে দেখতে চাই না। আমরা চাই আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে বসবাস উপযোগী ঢাকা গড়ে তোলা হোক।

এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের সময় রংপুরে স্ত্রীর কাছে মুঠোফোনে বাঁচানোর শেষ আকুতি জানিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। দুপুর সোয়া ১টার দিকে ছোট ভাই প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক ও দুই বোন ফাহিমা এবং রহিমাকে ফোন করে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। আগুনের ধোঁয়ায় মৃত্যুবরণ করতে হয় তাকে। তার মৃত্যুতে গ্রামের বাড়ি পীরগঞ্জে শোকার্ত মানুষের ঢল। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন স্ত্রী।

স্ত্রী জানান, ফোনে বার বার তিনি বলছিলেন, আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না। মোস্তাফিজুরের বড় ভাই শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সময় কথা বলতে বলতেই ফোন বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে এফআর টাওয়ারে গিয়ে তার কোনো খবর পাইনি। পরে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য বড় ভাই সিরাজুল ইসলামের মাধ্যমে খবর পেয়ে রাতে সিএমএইচে গিয়ে মোস্তাফিজুরের মরদেহ শনাক্ত করা হয়।

দিনাজপুর শহরের বালুয়াডাঙ্গার আব্দুল্লাহ আল মামুন। চাকরির কারণে স্ত্রী ও দুই শিশুকন্যা তানহা ও তাহিয়াকে নিয়ে বসবাস করতেন ঢাকায়। কাজ করতেন হেরিটেজ এয়ারলাইনস নামে একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে। ঘটনার সময় আগুন থেকে বাঁচতে জানালা দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। নিচে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় তার। এই সংবাদে মামুনের বাড়িতে শোকে স্তব্ধ মা ও স্বজনরা।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে আব্দুল্লাহ আল মামুনের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছালে এক করুণ দৃশ্যের অবতারণা হয়। ছেলের মরদেহ দেখে মা মেহেরুন নেছা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। মেয়ে তাহিয়া (১০) ও ছোট মেয়ে তানহা (৩), স্ত্রী সানজিদা পারভীনসহ মামুনের ভাই-বোন ও আত্মীয়স্বজনের কান্নায় এলাকার আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। দক্ষিণ বালুয়াডাঙ্গা মিনার জামে মসজিদের ঈদগাহ মাঠে বাদ জুমা দ্বিতীয় জানাজা শেষে দিনাজপুরের উপ-শহর ফরিদপুর কবরস্থানে মরহুম বাবা আবুল কাশেমের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

অগ্নিকাণ্ডে নিহত শরীয়তপুরের মির্জা আতিকুর রহমানের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। নিহতের মা, ভাই-বোন, স্ত্রী, ছেলে-মেয়েসহ আত্মীয়-স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে শরীয়তপুর সদর উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের পূর্বসারেঙ্গা গ্রাম। আতিকুর এফআর ভবনের ১৩ তলায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করতেন।

ঘটনার সময় তার পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজ করেও তাকে পায়নি। পরে ওইদিন রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মরদেহ শনাক্ত করেন আতিকুরের চাচাতো ভাই মির্জা বাদল। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে মরদেহ শরীয়তপুরের গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। দুপুর ২টার দিকে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে।

আতিকুর রহমানের স্ত্রী এনি আক্তার পলি বলেন, দুপুর ১টা ১০ মিনিটে আতিকুর আমার মোবাইলে ফোন করে। আমাকে বলে, আমার জন্য দোয়া করো। তখন আমি বলি— কেন এ কথা বলছো। তখন বলে- অফিসে আগুন লাগছে। ধোঁয়ায় অফিস ভরে গেছে, আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না। এটাই তার সঙ্গে শেষ কথা।

দুপুর আড়াইটার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে শেষ কথা হয় শারীরিকভাবে অনেকটা পঙ্গু মঞ্জুর হাসানের। মারা যাওয়ার আগে তিনি মোবাইল ফোনে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি তো বের হতে পারছি না। পঙ্গু মানুষ। আমি মনে হয় আর বাঁচব না। সবাই অফিস থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। আমি কোনো উপায় না পেয়ে অফিসের চেয়ারে বসে আছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করিস। তোরা ভালো থাকিস।

জীবনের শেষ সময়ে ছোট ভাই মেহফুজ জুবায়ের পলাশের সঙ্গে ফোনে কথাগুলো বলেন মঞ্জুর হাসান (৫০)। এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের সময় ভাইয়ের সঙ্গে এটাই শেষ কথা ছিল মঞ্জুর হাসানের। তার বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া পূর্বপাড়া গ্রামে। আগুন থেকে বাঁচতে সবাই যখন ছোটাছুটি করছিলেন তিনি কোনো উপায়ান্তর না পেয়ে অফিসের চেয়ারে বসেছিলেন। আর জীবনের শেষ সময়টুকু স্বজনদের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন।

কিন্তু এক সময় ফোনে কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। বার বার রিং হলেও অপর প্রান্ত থেকে আর কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে উদ্ধারকর্মীরা তার মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার স্বজনরা লাশ শনাক্ত করেন। সেখান থেকে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলে স্বজনদের কান্নার রোল পড়ে যায়।

এফআর টাওয়ারে আগুনে নিহতদের আরেকজন কুষ্টিয়ার ইকতিয়ার হোসেন মিঠু। ১১ তলায় একটি অফিসে কর্মরত ছিলেন তিনি। তার অকালমৃত্যুতে আড়াই বছরের সন্তান নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্ত্রী সালমা।

শবেবরাতের ছুটিতে ছেলে বাড়ি আসবে সেই অপেক্ষায় ছিলেন মা। কিন্তু পাবনার আতাইকুলার চরপাড়া গ্রামে এলো আমির হোসেন রাব্বির মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স। রাব্বির বাবা বলেন, আজকে আমাকে ছেলের মৃতদেহ কাঁধে করে নিয়ে দাফন করতে হচ্ছে। আমি আশা করেছিলাম, আমার ছেলে আমাকে কাঁধে করে নিয়ে যাবে। গতকাল সকালে রাব্বির মরদেহ আতাইকুলা ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে পৌঁছায়।

এ সময় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। ছেলের লাশ দেখে তার বাবা আয়ুব হোসেন ও মা রত্না খাতুন বার বার মূর্ছা যান। নিহত আমির হোসেন রাব্বি বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে সন্তান। তার আরো দুই বোন রয়েছে। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে চরপাড়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে তাকে চরপাড়া গোরস্থানে দাফন করা হয়।

বনানীর অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছেন লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার আনজির সিদ্দিক আবির। গত বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে ওই ভবনটির ১৬ তলা থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। আবির মিকা সিকিউরিটিস লিমিটেড কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। এফআর টাওয়ারের ১৪ তলায় কোম্পানিটির অফিস ছিল। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকালে মাকে ফোন করেন আবির। বলেন, মা এবার বেতন পেয়ে বাড়ির সবার জন্য নতুন কাপড় কিনব।

এর কিছুক্ষণ পরই ভবনটিতে আগুন লাগে। পরে বাথরুমের ভেতরে ঢুকে শেষবারের মতো ফোন করে পরিবারকে বিষয়টি জানান আবির। ফোন করে বাড়িতে খবর দেন তিনি। ফোন চালু রেখে ভবনের বাইরে থাকা লোকদের কাছে বাঁচার আকুতি জানাচ্ছিল। মোবাইলে সবার কাছে দোয়া চান আবির। এর কিছু সময় পর থেকে আবিরের ফোন বন্ধ পাওয়া গেলে পরিবারের লোকজন আর যোগাযোগ করতে না পেরে ঢাকায় চলে আসেন।

এরপর স্বজনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালসহ বেশ কয়েক জায়গায় আবিরের খোঁজ করে কোথাও তাকে পাননি। রাত সোয়া ১০টার দিকে টাওয়ারটির ১৬তলা থেকে আবিরের মরদেহ উদ্ধার করে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যায় ফায়ার সার্ভিস। পরে স্বজনরা গিয়ে আবিরের লাশ শনাক্ত করেন।

মাত্র দুদিন আগে নিজেদের তৃতীয় বিয়েবার্ষিকী পালন করা জারিন তাসনিম বৃষ্টির বাড়িতেও চলছে মাতম। সর্বশেষ গত ঈদে বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন তিনি। যশোরের শেখ মোজাহিদুল ইসলামের মেয়ে বৃষ্টি।

বনানীর আগুনে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে এক দম্পতির। মাকসুদুর রহমান জামি ও রুমকি রহমানের এই আকস্মিক প্রয়াণে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছেন তাদের স্বজনরা। রাজধানীর ফরিদাবাদে তাদের বাসায় চোখে পড়েছে শোকের করুণ চিত্র। আগুনে পুড়ে মরা থেকে বাঁচতে লাফিয়ে পড়েন মাকসুদুর রহমান জামি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

একই ভবনের ভেতরেই প্রচণ্ড ধোঁয়ায় শ্বাসরোধে মৃত্যু হয় স্ত্রী রুমকির। ঘটনার সময় অফিসে আগুন লাগার বিষয়টি ফোনে মাকে জানিয়েছিলেন জামি। সেটাই ছিল তার শেষ কথা। নীলফামারীতে বাবাকে মুঠোফোনে আগুন লাগার বিষয়টি জানিয়ে দোয়া চেয়েছিলেন চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা রুমকি। এই দম্পতির মৃত্যুতে পুরো পরিবার শোকাহত। হেরিটেজ এয়ার এক্সপ্রেস নামের একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করতেন তারা। ওই ভবনের দশম তলায় ছিল এই প্রতিষ্ঠানের অফিস।

পিবিএ/এমএস

আরও পড়ুন...