অব্যবস্থাপনায় বেশির ভাগ অবকাঠামো: এলজিআরডিমন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী (এলজিআরডি) মো. তাজুল ইসলাম

পিবিএ, ঢাকা: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী (এলজিআরডি) মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, এক সময় বেশিরভাগ অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে। তখন আমরা খুব গরীব ছিলাম, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থাও খুব খারাপ ছিল।

আজ শনিবার (৩০ মার্চ) গুলশান কাঁচাবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর ডিএনসিসি মার্কেট এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন এলজিআরডিমন্ত্রী।

মন্ত্রী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটেকে এটি দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করে বলেন, ‘আমরা একসময় খুব গরিব মানুষ ছিলাম। দেশটির আর্থসামাজিক অবস্থা খুব খারাপ ছিল। অব্যবস্থাপনায় বেশির ভাগ অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে।’

দীর্ঘ ৩০ থেকে ৪০ বছরের পুরোনো এসব অবকাঠামো সুশৃঙ্খল ব্যবস্থায় নিয়ে আসার ব্যাপারে কোনো রকম নমনীয়তা দেখানোর সুযোগ নেই বলেও মন্ত্রব্য করনে মন্ত্রী।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, এই মার্কেটে এর আগেও একবার অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এখানে মার্কেট হওয়ার জন্য যেসব ব্যবস্থাপনা থাকা দরকার, তার মধ্যে যথেষ্ট গাফিলতি আছে।

মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, এই মার্কেট ভেঙে একটি নতুন মার্কেট তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন আইনি জটিলতার সৃষ্টি করে এই কাজকে মন্থর করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আশা করেন, এখানে স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বিশেষ করে দোকানের মালিক ও ভাড়াটে—সবার বোধোদয় হয়েছে।

তিনি জানান, এটি অস্থায়ী মার্কেট। এটিকে পূর্ণাঙ্গ মার্কেটে রূপান্তর করার জন্য সিটি করপোরেশন আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে। সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এখানে ১৮ তলা ভবনের জন্য টেন্ডার হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আইনগত জটিলতা ও কোর্টে কিছু বিষয় বিচারাধীন থাকার কারণে তা করা যাচ্ছে না। সরকার আদালতের বাইরে যাবে না।

দেখভালের ঘাটতি আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এর আগে যেসব সুপারিশ ছিল, সেসব এখন থেকে বাস্তবায়ন না করা হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পিবিএ/এএইচ

আরও পড়ুন...