শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সন্তুষ্ট ইসি

ইসি সচিব হেলাল উদ্দিন

পিবিএ ডেস্ক: বরাবরের মত পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণও মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে জানিয়ে এজন্য সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার (৩১ মার্চ) নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে ভোটগ্রহণ শেষে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, অনিয়মের কারণে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার সব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এর বাইরে ১২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। কেন্দ্রগুলো হলো- মুন্সীগঞ্জের তিনটি, ঢাকার ধামরাইয়ের একটি, কুমিল্লার চান্দিনায় চারটি, মেঘনায় দুটি ও হোমনার দুটি কেন্দ্র। বাকি কেন্দ্রগুলোতে মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি জানান, ভোটগ্রহণ চলাকালে অনিয়মে জড়িত থাকায় সাত কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, রোববার দেশের ১০৭টি উপজেলার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলে।

তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আমরা প্রায় ৪৯টি উপজেলাতে প্রায় ১২০ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করেছিলাম। ঢাকা ও স্থানীয় ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা থেকে তিন শতাধিক ম্যাজিস্ট্রেট আমরা নিয়োগ করেছিলাম। এছাড়া র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, এমন কি গ্রাম পুলিশও আমরা নিয়োগ করেছিলাম।’ ‘আমাদের প্রস্তুতি ভালো হওয়ার কারণে চার ধাপের নির্বাচনে আপনারা খেয়াল করে দেখবেন, একটি লোকও নিহত হয় নাই। হয়তো কিছু আহত হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য আমরা অনেকগুলো উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করেছি। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), এমন কি আমরা পুলিশ সুপারকে (এসপি) প্রত্যাহার করেছি। কয়েকজনকে আমরা সাময়িক বরখাস্তও করেছি।’

চার ধাপের ভোটগ্রহণে ভোটের হার নিয়ে ইসি কতটুকু সন্তুষ্ট-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মানুষের জীবনের মূল্য অনেক বেশি। আহত, নিহত যাতে না হয়, সেটার ওপরে আমরা সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছি। আপনারা আমাদের শতকরা হারের কথা বলেছেন, শতকরা হার বাড়াতে গেলে আমাদের অনিয়মের মধ্যে পড়তে হয়। এ জন্য ভোটাররা যে পরিমাণ আসুন না কেন, আমরা ওটার ওপরে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা যদি ভোটার হার বাড়াতে চাই, তাহলে আবার সেই স্থানীয় প্রশাসন বা রাজনৈতিক ব্যক্তিরা অনিয়মের দিকে ঝুঁকে পড়বে।’

‘অনিয়ম যাতে না হয় সেজন্য আমরা বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। মানুষের যাতে প্রাণহানি না হয়, আহত না হয়, সেদিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। প্রকৃতভাবে কতো লোক ভোটকেন্দ্রে আসে, সেটাই চেয়েছি।’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাহলে ৮০ শতাংশ ভোট কীভাবে পড়েছে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের তুলনা করলে চলবে না। জাতীয় নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেছে। কিন্তু উপজেলায় নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করেনি। আমরা চেয়েছি স্বতঃস্ফূর্তভাবে যাতে ভোটাররা অংশগ্রহণ করে।’

পিবিএ/এএইচ

আরও পড়ুন...