পিবিএ ডেস্ক: সাইকোলজির শিক্ষার্থী কিংবা এই পেশায় থাকা মানুষদের সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় সেটি হল, “বলুন তো এখন আমি কি ভাবছি?”, কিন্তু সাইকোলজিস্টরা ‘মাইন্ড রিডার’ নন এবং শুধুমাত্র কারো মুখ দেখে তারা কি ভাবছে সেটা বলে দিতে পারেন না।
এখন প্রশ্ন হতে পারে, তাহলে তারা কি করেন?
সাইকোলজি হচ্ছে “মানুষের আচরণ ও মানসিক প্রক্রিয়া সংক্রান্ত জ্ঞান।” বাস্তব জীবনে সাইকোলজির প্রয়োগ বা কোন ক্লায়েন্টের মুখোমুখি হবার জন্য একজন সাইকোলজিস্টের তাত্ত্বিক জ্ঞানের পাশাপাশি প্রায়োগিক জ্ঞানও থাকতে হয়। এই প্রায়োগিক জ্ঞান ও দক্ষতা লাভের জন্য তাদের আরো প্রচুর পড়াশুনা ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়। সাইকোলজিস্টের অন্যতম দুটি দক্ষতা হল ‘অবজারভেশন’ (observation) এবং ‘একটিভ লিসেনিং’ (active listening)।
সাইকোলজিস্ট তার ক্লায়েন্টকে খুব ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। এটা ক্লায়েন্টের সমস্যা ভালোভাবে বোঝার জন্য ক্লু হিসেবে কাজ করে থাকে। একটিভ লিসেনিং হচ্ছে ক্লায়েন্ট যা বলছে তা এম্প্যাথির (empathy) সাথে শোনা, এবং একইসাথে ক্লায়েন্ট মুখে প্রকাশ করছে না, অথচ তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজের মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে সেদিকেও লক্ষ রাখা। যেমনঃ কথা বলার সময় কারো গলার স্বরের উঠানামা, হাত-পা নাড়ানোর ভংগী, ক্লায়েন্টের মধ্যে দৃশ্যমান অনুভূতি অর্থাৎ আনন্দ, ভয়, নার্ভাসনেস, স্ট্রেস ইত্যাদি।
এই দুটি দক্ষতার জন্য বেশিরভাগ সাইকোলজিস্ট ক্লায়েন্টের বলা না বলা কথার ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে পারেন, তবে সেটা সবসময়ের জন্য প্রযোজ্য নয়। আর এই বিষয়টিকে অনেকে ‘মাইন্ড রিডিং’ এরসাথে মিলিয়ে ফেলেন। আর উল্লেখ্য উক্ত দুটি দক্ষতার জন্যও একজন সাইকোলজিস্টের প্রচুর প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের দরকার হয়।
লেখক: ওয়ায়েছ আহমেদ আরিফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
পিবিএ/এফএস