স্ট্রোক যে কোন বয়সেই হতে পারে

পিবিএ, ডেস্ক: স্ট্রোক যেমনি বয়স্ক লোকদের হতেপারে, তেমনি অল্প বয়ষ্ক লোকদেরও হতে পারে। তবে অল্প বয়সি এবং বয়স্কদের মধ্যে স্ট্রোক হওয়ার কারণের মধ্যে পার্থক্য আছে। প্রতি বছর স্ট্রোকের কারণে অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। অসুস্থ হয়ে অনেকে কর্মক্ষমতা হারান। স্ট্রোক হয়ে গেলে সে ব্যক্তির এবং পরিবারের অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়। তাই প্রতিরোধের দিকে সবার নজর দেয়া উচিত। অল্প বয়সে স্ট্রোক হলে সমস্যা বেশি। রোগীর যে সময় কর্মক্ষম থাকার কথা সেই সময় কর্মক্ষমতা কমে যায় এবং সব সময় আতংকের মধ্যে থাকতে হয়। মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ কমে গিয়ে বা হঠাৎ রক্ত বের হয়ে কোনো এলাকা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ার নাম হলো স্ট্রোক। ফলে স্ট্রোকে আক্রান্তের শরীরের একদিক বা কোনো অংশ অবশ হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় কথা জড়িয়ে যেতে পারে বা একেবারে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। স্ট্রোক হলে খাবার গ্রহণে অসুবিধা হয় এবং অনেক সময় রোগী প্রস্রাব-পায়খানার উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। তবে সবার একই লক্ষণ থাকবে তা ঠিক নয়। একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম লক্ষণ থাকে। ব্রেনের কোন এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে সমস্যা দেখা দেয়।

অল্প বয়স্কদের স্ট্রোক হওয়ার কিছু কারণ নিচে তুলে ধরা হল:
১. স্ট্রোকের ২৫ শতাংশ কারণ হৃদরোগ।
২. মস্তিষ্কের রক্তনালী ছিড়ে যাওয়া। এটি সাধারনত জন্মগত ত্রুটির কারণে হয়ে থাকে।
৩. বিভিন্ন ধরনের ভাসকুলাইটিস এর কারণে স্ট্রোক হয়।
৪. জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ি সেবনে ৪৫ বছর পর মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। এটি অল্প বয়সে স্ট্রোকের অন্যতম একটি কারণ।
৫. নেশাজাত দ্রব্য সেবন ও গ্রহন স্ট্রোকের অন্যতম কারণ।
৬. অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ ও ডায়বেটিস এবং কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপ অল্প বয়সে স্ট্রোকের প্রধান কারণ।
৭. অতিমাত্রায় চর্বি স্ট্রোকের অন্যতম একটি কারণ। রক্তে অতিরিক্ত চর্বি থাকলে স্ট্রোকের আসঙ্কা অনেক বেড়ে যায়।
৮. শারীরিক স্থুলতার কারণেও স্ট্রোক হয়। বর্তমান যুগে আমাদের সবারই পরিশ্রম করার উপর অনিহা জন্মে গেছে। তাই স্থুলতার হারও বেড়ে গেছে।
৯. মানসিক চাপ ও মাইগ্রেনের কারণে স্ট্রোকের ঝুকি বেড়ে গেছে।

স্ট্রোক অনেকটা মরণ ব্যাধির মতই। আমরা সতর্কতা অবলম্বন করে চললেই স্ট্রোক থেকে রেহাই পাব। ডায়বেটিস, উচ্চরক্তচাপ এ রোগ গুলোকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে এবং যুবকেরা নিয়মিত ব্যায়াম করে তাদের ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখলে, তারা প্রচুর পরিমানে শাক-সবজি খেলে, চর্বি জাতীয় খাবারের পরিমান কমিয়ে দিলে স্ট্রোকের ঝুকি অনেক কমে আসবে। হার্টের সমস্যা থাকলে বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের পরামর্শে ওষুধ খেতে হবে। ওষুধ গ্রহণ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া বন্ধ করা যাবে না। তাই খাবার গ্রহণে নিয়ানুবর্তিতা ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের মাধ্যমে স্ট্রোক প্রতিরোধ করা সম্ভব।

পিবিএ/আরএইচ

আরও পড়ুন...