মো: জাকির হোসেন,নীলফামারী: চলছে শিলাবৃষ্টি আর প্রবল বাতাস। তার মধ্যেই ভিজতে ভিজতে স্কুল মাঠে শিলা কুড়ানোয় ব্যস্ত ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা। কেউ কেউ আবার মেতে উঠেছে বৃষ্টির পানি ছিটাছিটিতে। প্রবল বাতাসের সাথে ঠান্ডা বৃষ্টির তোড়ে শীতে কাতর হয়ে অনেকে ভোঁ দৌড় দিয়ে পালাচ্ছে। এর মধ্যে প্রচন্ড শব্দে বিদ্যুৎ চমকের সাথে বজ্রপাত হয়। আতঙ্কে উঠে শিশুরা। এমন পরিস্থিতিতে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে মারাত্মক ধরণের দূর্ঘটনা।
অথচ টিচার্স রুমে অবলিলায় গল্পে মশগুল শিক্ষকেরা। তারা কেউ ভ্রুক্ষেপই করছেন না শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুম থেকে বের হয়ে এমন ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে।
এমন ঘটনাটি ঘটেছে ২ এপ্রিল (মঙ্গলবার) দুপুর ৩ টার দিকে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের হাজারীহাট এলাকায়। বৃষ্টিতে আটকে পড়া লোকজন রাস্তার পাশের বিভিন্ন দোকান ও স্থাপনায় আশ্রয় নিয়ে দূর থেকে এ দৃশ্য দেখেন আর স্কুল কর্তৃপক্ষের এহেন অবহেলা ও কান্ডজ্ঞানহীন কাজের জন্য বিভিন্ন মন্তব্য করেন।
এ ব্যাপারে বৃষ্টি শেষে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: আবু বাশার মো: মহিউদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি পিবিএ’র প্রতিবেদককে জানান, বৃষ্টিতে ভিজলে তেমন কোন ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। বাচ্চারা বৃষ্টিতে ভিজছে না কি করছে তাতে আপনার সমস্যা কী?
বজ্রপাত বা ঠান্ডা লেগে শিশুরা যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এরকম কোন অসুবিধা তো হয়নি। হলে বা কোন দূর্ঘটনা ঘটলে তখন দেখা যেতো। যেহেতু কিছু হয়নি তাই এ নিয়ে কোন মন্তব্য না করাই ভালো। আমার শিক্ষার্থীদের নিয়ে আপনার এতো মাথা ব্যাথা কেন?
এ ব্যাপারে কথা হয় সৈয়দপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টার অফিসার রুহুল আমিনের সাথে। তিনি জানান, বিষয়টি খুবই দু:খজনক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য আশংকার। তাই এ ব্যাপারটি তদন্ত করে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পিবিএ/জেএইচ/হক