পিবিএ ডেস্ক: ময়না তদন্ত না করায় বাস থেকে ফেলে হত্যা করা সিলেট কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র ওয়াসিমের লাশ কবর থেকে উত্তোলনের আদেশ দিয়েছেন মৌলভীবাজারের আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২এপ্রিল) মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত মূখ্য বিচারিক হাকিম মোঃ বাহাউদ্দিন কাজী এ আদেশ দেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ঘোরী মোঃ ওয়াসিম আব্বাসের লাশ ময়নাতদন্ত না করেই দাফন করে তাঁর পরিবার। সুষ্ট তদন্ত ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য আদালত এ নির্দেশ দেন। ময়নাতদন্তের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য হবিগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন। ময়নাতদন্ত শেষে সমস্ত কাজের সমন্বয় করে আদালতকে অবহিত করতেও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মৌলভীবাজার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গিয়াস উদ্দিন খানকে ময়নাতদন্ত শেষে আদালতকে অবহিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি আদেশ হবিগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
আদালত একই বিষয়ে সহযোগিতার জন্য হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন, মৌলভীবাজারের পুলিশ সপার, মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অনুলিপি দিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই গিয়াস উদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল আহম্মদ জানান, ৫ দিনের রিমান্ড শেষে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন উদার পরিবহনের বাস চালক জুয়েল আহমদ, হেলপার মাসুক মিয়া।
উল্লেখ্য, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ওয়াসিমকে গত ২৩ মার্চ মৌলভীবাজারের শেরপুর এলাকায় বাস চাপায় মারা যান। ওই বাসের হেল্পার তাকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যা করে বলে অভিযোগ করেন সিকৃবির শিক্ষার্থীরা।
গত ২৫ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ডু বাদী হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় উদার পরিবহনের চালক জুয়েল, হেলপার মাসুক ও সুপার ভাইজার সেফুল মিয়াকে অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা। এ ঘটনায় চালক ও হেল্পার গ্রেপ্তার হলেও বাসের সুপার ভাইজার এখনও পলাতক রয়েছে।
পিবিএ/এএইচ