কিডনি রোগ রেনাল কার্টিকাল সিস্ট

পিবিএ,ডেস্কঃ সিস্ট হচ্ছে এক ধরনের পানি ভর্তি থলি। কর্টিকাল সিস্ট তার মধ্যে অন্যতম। সিস্ট খুবই সাধারন একটি সমস্যা। আমরা অনেকেই মনে করি সিস্ট হওয়া মানেই আমাদের কিডনি নষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু এটি নিতান্তই আমাদের ভুল ধারনা। রেনাল কর্টিকাল সিস্ট একধরণের নির্দোষ অবস্থা। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই এ থেকে বড় কোন সমস্যা হয়না। মানুষের কিডনিকে কাঁটলে দুইটি ভাগে বিভক্ত করা যায়। বাইরের অংশটিকে বলা হয় কর্টেক্স এবং ভেতরের অংশটিকে বলা হয় মেভুলা। কার্টিকাল সিস্ট কর্টেক্স নামক অংশটিতে হয় এবং এটি ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটারের মত হয়। অনেকসময় এর থেকেও বড় আকারের হয়। বয়সের সাথে সাথে সিস্ট হওয়ার ঝুকিও বাড়তে থাকে।

রেনাল কার্টিকাল সিস্ট হওয়ার কিছু লক্ষন আছে। এর মধ্যে কিছু লক্ষন হলোঃ

১. পেটে গোটা বা চাকা অনুভূত হওয়া। যা পেট পরীক্ষা করালে ধরা পরে।

২. কিডনিতে টিউবিউল থাকে। ঘনঘন প্রস্রাব হলে বুঝতে হবে সেখানে সমস্যা হয়েছে।

৩. পেটে ব্যাথা হলে। আবার অনেক সময় পিঠেও ব্যথা হয়।

৪. জ্বর জ্বর ভাব হলে ও জ্বর আসলে।

উপরিউক্ত সমস্যাগুলো দেখা দিলে যত তারাতারি সম্ভব ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিৎ।
রেনাল কার্টিকাল সিস্টের চিকিৎসা খুবই সহজ। একজন অভিজ্ঞ সনোলজিস্ট খুব সহজেই এই সমস্যা ধরতে পারেন আল্ট্রাসাউন্ড এর মাধ্যমে। রেনাল সিস্ট পাওয়ার পর যদি রেনাল ফাংশন পরীক্ষা করা হয়, তবেই বোঝা যায় কিডনিতে সমস্যা হচ্ছে কিনা। রেনাল ফাংশনে কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা বোঝার জন্য প্রতিমাসে অন্তত একবার এর পরীক্ষা করা উচিৎ বা আল্ট্রাসাউন্ড করালেও এই সমস্যা ধরা সম্ভব। রেনাল কর্টিকাল সিস্টে যদি কোন উপসর্গ না থাকে তবে চিকিত্সার প্রয়োজন হয়না। তবে মাসে মাসে রেনাল ফাংশন টেস্ট এবং আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা উচিত। তাতে বোঝা যাবে সিস্ট থেকে কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা। সিস্ট যদি বড় হয় এবং উপসর্গ তৈরি করে তবে অপারেশন লাগতে পারে। ৩ সেন্টিমিটারের নিচে থাকলে এর কোনো অপারেশনের প্রয়োজন পরে না।

পিবিএ/আরএইচ

আরও পড়ুন...