সারা পৃথিবীতে বেড়েই চলেছে অটিজম। কিন্তু অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার (এএসডি) নিয়ে জনসচেতনতা এখন নেই বললেই চলে। এ সচেতনতার অভাবে এই নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার চিনতেই পারেন না অভিভাবকরা। তাই এ রোগ সম্পর্কে আরও বেশি করে প্রচার দরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তার সঙ্গে জরুরি, শৈশবেই এ রোগকে চিহ্নিত করা।
অটিজম কী?
একটি জটিল নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার
অটিজম রোগ হলে কী হয়?
কথাবার্তা বলা, সামাজিক মেলামেশা ও স্বাভাবিক মানসিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে (বুদ্ধি ব্যাহত হয় না) অন্তরায় তৈরি হয়। অথচ বৌদ্ধিক ও অন্যান্য গুণাগুণের বিচারে কোন পার্থক্য থাকে না আর পাঁচ জনের সঙ্গে।
কিভাবে বুঝা যাবে এই রোগ:
অতি-ঘনিষ্ঠ ছাড়া মেলামেশা নয়। বয়সের নিরিখে অনেক দেরিতে কথা বলতে শেখা। চোখে চোখ রেখে কথা বলতে না-পারা। একই কথা বা কাজ বার বার আওড়ে চলা বা করা। কারও শরীরী ভাষা, ইশারা, ইঙ্গিত, মুখের ভঙ্গির মানে না-বোঝা। এক ঘেয়ে রুটিনে আসক্তি। রগচটা ব্যবহার। রোজনামচা বা পরিবেশের সামান্য পরিবর্তনেই রাগ। বহির্জগৎ সম্পর্কে উদাসীনতা, যন্ত্রণা ও উত্তাপকে গ্রাহ্য না-করা, নির্দিষ্ট শব্দ ও গন্ধ সম্পর্কে অতিসংবেদনশীলতাও এই রোগের উপসর্গ।
অটিজম থেকে মুক্তির উপায়:
অ্যালবার্ট আইনস্টাইন, মোৎজার্ট, বিল গেটসের মতো মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয় যাঁরা অটিজমের বাধা টপকেও সফল। তবে প্রয়োজন চিকিৎসার।