পিবিএ,সিলেট: পুর্ব বিরোধের জের ধরে সুনামগঞ্জে জুবেল (১১) নামের শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ গুমের দায়ে এক আসামিকে মুত্যুদন্ড’র আদেশ দিয়েছেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক।
মৃত্যু দন্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম সেলিম আহমদ। সে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের পীরপুর গ্রামের মরতাব আলীর ছেলে।
মঙ্গলবার সিলেট দ্রত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মো. রেজাউল করিম এ রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণা কালে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত সেলিম আহমদ পলাতক ছিলেন।
সিলেট দ্রত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি কিশোর কুমার কা জানান, ২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর ছাতকের পীরপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা রমজান আলীর ১১ বছর বয়সী ছেলে জুবেল আহমদ মোবাইল ফোন কেনার জন্য একই গ্রামের সেলিম মিয়াকে দুই হাজার টাকা দেয়। টাকা নিয়ে মোবাইল ফোন না দিয়ে জুবেলকে তাড়িয়ে দেয় সেলিম। পরে জুবেলের মা সেলিমকে বকাঝকা করলে সে মোবাইল ফোন সেট দেয়।
ওই ঘটনার পর দু’দিন পর ২৬ নভেম্বর পীরপুর বাজারে সেলিমের দোকানে যায় জুবেল। এরপর থেকে জুবেল নিখোঁজ হয়।
২৮ নভেম্বর গ্রামের স্থানীয় একটি পুকুর থেকে জুবেলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জুবেলের ভাই রুহেল আহমদ বাদি হয়ে ছাতক থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় সেলিম মিয়া ছাড়াও একই এলাকার আবুল কালাম ও এখলাছুর রহমানকেও আসামী করা হয়।
২০১৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পুলিশ ওই তিনজনকে আসামী করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করে। পরে সুনামগঞ্জ আদালত থেকে চাঞ্চল্যকর মামলাটি সিলেট বিভাগীয় দ্রত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করা হয়।
২০১৫ সালের ২৮ মে আদালত চার্জগঠন করে বিচার কাজ শুরু করেন। মামলার ২২ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করা হয়।
রায়ে আবুল কালাম ও এখলাছুর রহমানকে বেকসুর খালাস এবং সেলিমকে মৃত্যুদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালতের বিচারক।
পিবিএ/এইচএস/হক