বগুড়ায় সাত লাখ টাকা মূল্যের অনুমোদনহীন ওষুধ উদ্ধার


পিবিএ, বগুড়া: বগুড়া শহরের সাতমাথায় বিভিন্ন কোম্পানীর ‘স্যাম্পল ওষুধ’ বিক্রির পাইকারি বাজারখ্যাত খান মার্কেটের চতুর্থ তলায় ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়েছে। এই অভিযানে প্রায় সাত লাখ টাকা মূল্যের ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন রেজিষ্ট্রেশন (ডিএআর) বিহীন ওষুধ ও অন্যান্য সামগ্রী জব্দ করেছেন। ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে এই ঘটনায় গ্রেফতার দুইজনকে ৬ মাসের কারাদ- প্রদান করেছে।

গ্রেফতারকৃত দুই দোকান কর্মচারি হলেন শফিকুল ইসলাম ও আব্দুল মোমিন। দুই কর্মচারিকে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম কামরুল ইসলাম তাদের ৬ মাস করে কারাদ- ও এক লাখ টাকা করে দুই জনের দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। বুধবার বিকালের এ অভিযানের সময় ওই মার্কেটের অধিকাংশ দোকান বন্ধ করে মালিক-কর্মচারিরা পালিয়ে যান।

বগুড়ার ড্রাগ সুপার আহসান হাবিব জানান, শহরের সাতমাথায় খান মার্কেটের চতুর্থ তলায় পুরাতন টিভি ও অন্যান্য সামগ্রী বিক্রির প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে রেমেক্স ল্যাব নামে একটি প্রতিষ্ঠানের গুদাম রয়েছে। ওই গুদামে ডিএআর নম্বর বিহীন বিপুল পরিমাণ ওষুধ ও অন্যান্য সামগ্রী মুজদ করা হয়েছে। গোপনে খবর পেয়ে বুধবার বিকালে আর্মড পুলিশের সহায়তায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। ওই গুদামে গিয়ে প্রায় ৭ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন নামের মিস ব্র্যান্ড (যৌন উদ্দীপক) ওষুধ, ফুড সাপ্লিমেন্ট, মেডিকেটেড শ্যাম্পু ও সোপ পাওয়া যায়। এছাড়া সেখানে স্থানীয়ভাবে মুদ্রিত বিদেশী ওষুধের মোড়ক ও বিএসটিআইয়ের ভুয়া অনুমোদনের কাগজও পাওয়া গেছে। এসব জব্দ এবং শফিকুল ইসলাম ও আব্দুল মোমিন নামে দুই কর্মচারিকে গ্রেফতার করা হয়।

ভ্রাম্যমান আদালত তাদের প্রত্যেককে ৬ মাস করে কারাদ- ও দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করেন। পরে সদর থানা পুলিশ তাদের জেল হাজতে পাঠিয়েছে। অভিযানের সময় মার্কেটের অধিকাংশ দোকান বন্ধ করে মালিক ও কর্মচারিরা পালিয়ে যান।

পিবিএ/এইচএ/এমএসএম

আরও পড়ুন...