পিবিএ,ঢাকা: সীমান্তপথে ইয়াবা আমদানি কঠিন হয়ে যাওয়ায় এখন ইয়াবাকারবারিরা বেসরকারি হেলিকপ্টারকে নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বলছে, মাদক ব্যবসায়ীরা কক্সবাজার থেকে হেলিকপ্টারে করে মাদক চোরাচালান করছে বলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তথ্য দিয়েছে। যেহেতু হেলিকপ্টারের যাত্রীদের তেমন কোন নিরাপত্তা বলয়ের মাধ্যমে যেতে হয় না এবং পণ্য পরিবহনের সময় স্ক্যানিংয়ের যথাযথ ব্যবস্থা নেই, তাই এতদিন ব্যাপারটি কারও নজরে আসেনি। কিন্তু এ তথ্য জানার পর নড়েচড়ে বসেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আজ বুধবার সকালে সচিবালয়ে বেসরকারি আটটি প্রতিষ্ঠানের হেলিকপ্টারের মালিক ও তাদের প্রতিনিধি, বিমান ও আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছে স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়। মাদক পরিবহন প্রতিরোধে তাদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানিয়েছে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে মাদক পরিবহন হচ্ছে। স্ক্যানিংএর যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় অনেক মাদক ব্যবসায়ীরা এ সুযোগ পাচ্ছে। এজন্য হেলিকপ্টার মালিকদের ডেকেছিলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন দিতে আমরা একটি কমিটি করে দিয়েছি।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি করা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকেও মাদক পরিবহন প্রতিরোধে হেলিকপ্টার ব্যবহারে সতর্কতা জারি করতে বলা হয়।
বিমান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান এতদিন তারা খবর পেয়েছেন, অভ্যন্তরীণ রুটের বিমানে যাত্রীদের দিয়ে মাদক আনা-নেওয়া করা হয়। কিন্তু এখন খবর আসছে তারা হেলিকপ্টার ব্যবহার করে ইয়াবা পাচার করছে। এ অভিযোগ যারা ভাড়ায় ফ্লাইট পরিচালনা করছে তাদের ক্ষেত্রে। বিমানের একজন কর্মকর্তা জানান, হেলিকপ্টার ওড়ার ছয় ঘন্টা আগে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) অনুমতি নেওয়ার কথা থাকলেও বেশির ভাগই নেন না।
পিবিএ/এএইচ